কোচবিহারের তৃণমূলকে হারাতে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে বামেরা, মেনে নিচ্ছেন হেভিওয়েট নেতা উত্তরবঙ্গ রাজ্য April 14, 2019 বাম এবং বিজেপি এক হয়ে কাজ করছে বলে বিভিন্ন সময়ই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। আর এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফা কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরই কোচবিহারে বামেরাই বিজেপির পরিত্রাতা হিসেবে সক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ করতে শুরু করল তৃণমূল। জানা গেছে, নির্বাচনের দিন কোচবিহারে বামেদের পক্ষ থেকে রামনবমীর আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই বিষয় তুলে ধরে রাম এবং বাম এক হয়ে কাজ করছে বলে এবার অভিযোগ করলেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক তথা বর্তমানে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। তবে শুধু উদয়নবাবুই নন, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, কোচবিহার শহর, দিনহাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় বামেরা তলায় তলায় বিজেপিকে সমর্থন করেছে। আর এর ফলে বামেদের ভোট বিজেপির দিকে চলে যাওয়ায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অনেকটাই সুফল লাভ করতে পারে গেরুয়া শিবির বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর পেছনে অনেকেই মনে করছেন যে, কোচবিহারে ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে যিনি প্রার্থী হয়েছিলেন সেই গোবিন্দ রায়কে দলের অনেকেই মানতে পারেননি। ফলে তলায় তলায় বামেদের অনেক কর্মী-সমর্থকরা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করে সমন্বয় সাধন করেছেন। যদিও বা এই ব্যাপারে কোনো রকম যুক্তি মানতে নারাজ কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী ফরওয়ার্ড ব্লকের গোবিন্দ রায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তিনি বলেন, “এসব কথার কোনো যুক্তি নেই। কে কোথায় ভোট দিয়েছে তা আমরা কি করে জানব? আমাদের সঙ্গে কারো কোনো বোঝাপড়া নেই।” তবে বাম প্রার্থী গোবিন্দ রায় এই ব্যাপারে নিজের যুক্তি দিয়ে অভিযোগ খারিজ করলেও অনেকে মনে করছেন, ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক পরেশ অধিকারী তৃণমূলে যোগদান করার পরই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে সেই পরেশ অধিকারী তৃণমূলে চলে যাওয়ার পর ফরওয়ার্ড ব্লকের একটা বড় অংশ তার প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রহর গুনছিল। আর তাই সেই পরেশবাবুকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতেই তলায় তলায় বিজেপিকে সমর্থন করেছে বামেরা। কিন্তু বামেদের ভোট বিজেপির দিকে চলে যাওয়ার যুক্তি ঠিক কতটা সত্য? এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের এক জনপ্রতিনিধি বলেন, “বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে মানুষরা তৃণমূলকে ভোট দিতে যাননি, তারা বামেদেরকেই ভোট দিয়েছেন। তবে বিগত দিনে ফরওয়ার্ড ব্লককে টাইট দিতে গিয়ে সিপিএম এই ধরনের গোপন বোঝাপড়ার কৌশল নিত।” তবে কোচবিহারে ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে সেই বামেদের ভোট বিজেপিতে চলে যাওয়ার খবর রটলেও শেষ পর্যন্ত ঠিক কী হবে তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত। আপনার মতামত জানান -