এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারের পরেই মির্জার নামে আরও “বিস্ফোরক কেলেঙ্কারির” সন্ধান

সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারের পরেই মির্জার নামে আরও “বিস্ফোরক কেলেঙ্কারির” সন্ধান


নারদকাণ্ডে প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ তাকে টাকা নিতে দেখা যাওয়ায় এবং সেই নিয়ে তদন্তকারীদের সঠিক তথ্য দিতে না পারায় সম্প্রতি আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এবার সেই মির্জার বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এল। জানা গেছে, নবাবের এস্টেটের জমিতে হোটেল করেছিলেন সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আইপিএস অফিসার সৈয়দ মির্জার শাশুড়ি শিখা সেন।

এতদিন তিনতলার সেই প্রাসাদ গড়ে উঠলেও তা মুর্শিদাবাদ এস্টেট কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি! কিন্তু শুক্রবার এই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে আচমকাই নড়েচড়ে বসতে দেখা গেল কর্তৃপক্ষকে। যার জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে শিখা সেনকে নোটিশ ধরানো হল। এদিন এই প্রসঙ্গে এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা এই ব্যাপারে আপত্তি তোলায় আমাদের অনেক হুমকি শুনতে হয়েছিল। কাগজপত্র নিয়ে পুরসভার কাছে নালিশ জানিয়ে ছিলাম।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে পুরসভাকে এতদিন জানালেও তারা কাজের কাজ কিছুই করেনি বলে অভিযোগ আরেক বাসিন্দার। কিন্তু হঠাৎ এই মির্জা নারদ কান্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরই কেন এই ব্যাপারে নড়েচড়ে বসল সেই এস্টেট কর্তৃপক্ষ! এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এদিন এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের এস্টেট ম্যানেজার শুভদীপ গোস্বামী বলেন, “এস্টেটের জায়গায় হোটেল তৈরি সম্পূর্ণ বেআইনি। এখানে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। হোটেল কর্তৃপক্ষকে নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে।”

এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু, স্থানীয় স্তরে অভিযোগ জমা পড়লেও এতদিন কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি? উল্টোদিকে, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারির পরেই কেন প্রশাসন নড়েচড়ে বসছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য শুভদীপবাবু সংবাদমাধ্যমকে দেন নি। তবে এস্টেট কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শোনালেও এদিন এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত নারদকান্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার মির্জার শাশুড়ি শিখা সেন মুখ খোলেন।

শিখাদেবী এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্ট বলেন, “আমরা রেস্তুরা করেছি। আমাদের সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। পুরসভায় গিয়ে তার প্রমান দেব।” কিন্তু, ঘটনা যাই হোক, সূত্রের খবর এবার নারদকাণ্ডে জাল গোটাতে শুরু করেছে সিবিআই। আর সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবেই প্রথম গ্রেপ্তারিও হয়েছে। আর তাতেই কি এবার ‘অবৈধ’ নির্মাণ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন? এই ঘটনা সামনে আসাতে আরও কি বিপাকে মির্জা? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!