প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভালোবাসার তাগিদে দেশ কালের গণ্ডি পেরিয়ে নানা বাধা অতিক্রম করে সীমান্ত পেরোনোর দৃশ্য, এতদিন মানুষ দেখে এসেছে সিনেমার পর্দায়। তবে এ ঘটনা যে বাস্তবেও আপনাকে দেখতে হতে পারে তা ভেবেছিলো কজন। না সেই ভাবনার মানুষদের মধ্যে আমি অন্তত ছিলাম না এটুকু আপনাদের বলতে পারি। তবে কাল কাঁটাতার সীমান্তে এমন আবেগঘন দৃশ্য দেখে মনমুগ্ধ যে আমিও হয়নি তা বলতে পারব না।

কথা হচ্ছে জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। গতবছরের ৬ই ডিসেম্বর যিনি গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তাঁর ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে। মানুষটি আর কেউ নয়, পদ্মাপারের মেয়ে মিথিলা ওরফে রফিয়াত রশিদ মিথিলা। যিনি অভিনেত্রী এবং সমাজসেবী হিসেবেও পরিচিত। তবে নতুন পরিচয়ে আসার পর তাঁকে শুনতে হয়নি কম কথা। মুসলিম মেয়ের হিন্দু স্বামী, সেই নিয়ে জল্পনা হয়েছিল অনেক। তাও আবার কিনা মেয়ে আছে। নাম আইরা। চোখ কপালে তুলেছিলেন অনেকেই।

তবে সেসব কথা ধরার মানুষ নন কর্তা গিন্নি কেউই। জমিয়ে তাই সংসারেই মন দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বাধ সাধলো করোনা। ব্যাপার কি? আরে ব্যাপারটা হচ্ছে, কাজের সুত্রে বউটি ছিল বাংলাদেশে। আর কর্তা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। আরে শুটিং চলছিল যে ছবির। নাম? ‘ কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’। তবে এরই মধ্যে এলো করোনার হানা। বেচারা যায় কোথায়। কোনরকমে সৃজিত দেশে ফিরলেও ফিরতে পারেননি বউটি। আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ ছিল। অগত্যা বিরহের দিন গোনা।

তবে গতকাল সেই বিরহ ঘুচেছে। হাসি ফুটেছে দম্পতির মুখে। খুশি মেয়েও। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ছবির সৌজন্যে জানা গেছে গতকাল ১৫ই আগস্ট ভারতের পেট্রোপোল সীমান্ত দিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখেন মিথিলা। তাদের আনতে সেখানে যথারীতি পৌঁছে যান পরিচালক। একসঙ্গে ছবি তুলে সেই আবেগঘন ছবি পোস্টও করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। সঙ্গে স্বাধীনতার আঙিনায় ভালোবাসার জয়ের বার্তাও দিয়েছেন। আর এতেই মন মজে গেছে নেটিজেনদের।