এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সিঙ্গুরের গোষ্ঠীকোন্দল ক্রমশ কি শাসকদলের হাতের বাইরে? এক নেতাকে কোনঠাসা করে ‘দখল’ নিচ্ছেন হেভিওয়েটের অনুগামীরা

সিঙ্গুরের গোষ্ঠীকোন্দল ক্রমশ কি শাসকদলের হাতের বাইরে? এক নেতাকে কোনঠাসা করে ‘দখল’ নিচ্ছেন হেভিওয়েটের অনুগামীরা


বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দমন করা যাচ্ছে না সিঙ্গুরের। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সভাপতি নির্বাচনের পর এবার স্থায়ী কমিটি গঠনেও গোষ্ঠকোন্দল প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের। ভোটাভুটিতে শামিল হলেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বেচারাম মান্নার অনুগামীরা।

সভাপতি নির্বাচনে রবীন্দ্রনাথবাবুর অনুগামীরা জয়ী হলেও, এদিন স্থায়ী সমিতির দখল নেন বেচারামবাবুর দলবলেরা। ফলত সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির ও সহসভাপতি রবীন্দ্রনাথ বাবুর আওতায় থাকলেও কর্মাধ্যক্ষের কুর্সি দখলে রয়েছে বেচারামবাবুর অনুগামীদের। ফলত আগামী দিনে সিঙ্গুরের পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করার সূত্র ধরে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না অভিজ্ঞমহল।

জেলা সূত্রের খবর,সিঙ্গুরে শাসক দলের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বেচারাম মান্নার অনুগামীদের দীর্ঘদিনের গন্ডোগোল অজানা নয় কারো। সেজন্যে এই গোষ্ঠীকোন্দলের ইতি টানার জন্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই দফায় দফায় রাজ্য নেতৃত্বরা বৈঠকে বসেছেন দুই গোষ্ঠীর বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। ভোটেট টিকিট না পাওয়া বিক্ষুব্ধরা নির্দল হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।

ব্লক প্রশাসন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,স্থায়ী সমিতি নির্বাচনে হাজির হওয়ার জন্য ৪৭জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ১৬ জন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, তিনজন জেলা পরিষদের সদস্য, দুই বিধায়ক ও দুই সংসদ সদস্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ২ জন সংসদ সদস্য ছাড়া বাকি ৬৮ জন এদিন নির্দিষ্ট সময়েই হাজির হন। সভাপতি এবং সহসভাপতি নির্বাচনের মতোই এদিনও একইরকমভাবে ভোটাভুটি হবে এমনটাই ভাবা হয়েছিল।

সেজন্যে সকাল থেকেই সিঙ্গুর বিডিও অফিস চত্বরে পুলিয় মোতায়েন রাখা হয়েছিল। সকাল ১১ টার পর থেকেই বিধায়ক এবং প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা ভীড় জমাতে শুরু করেন অফিস চত্বরে। দুপুর ১ টা নাগাদ ব্লক অফিস কনফারেন্স হলে স্থায়ী কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হলে নির্ধারিত ঘোষণার পর রবীন্দ্রনাথ বাবু এবং বেচারাম বাবুর অনুগামীরা পৃথক পৃথকভাবে নাম জমা দেন।

তারপর ভোটাভুটি হলে দেখা যায় বেচারামবাবুর অনুগামীদের জমা দেওয়া নামের প্যানেলের সমর্থনে ৩৬টি ও রবীন্দ্রনাথবাবুর অনুগামীদের প্যানেলের পক্ষে ৩২টি ভোট পড়েছে। ফলত কর্মাধ্যক্ষরা বেচারাম বাবুর অনুগামীদের দখলে চলে যায়।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি স্বপন পাল জানান, নির্বাচনে বিরোধী শূন্য জয় লাভ করলেও শাসকদলের আভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণেই এতোদিন থমকে ছিল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন। এদিন যে স্থায়ী সমিতি গঠনেও নির্বাচন করতে হয়েছে তাতে সভাপতির গোষ্ঠীর অপর পক্ষ জিতেছে। এর ফলে সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে করা উন্নয়ন মূলক কর্মসূচিতে সমস্যা হবে বলেই মনে করছেন তিনি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে প্রতিপক্ষের এই যুক্তিতে মানতে নারাজ শাসকদল। দলের নির্বাচিতরাই কমিটির সদস্য হয়েছেন। কাজেই মানুষের হিতে কাজ করাই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য হবে, এমনটাই বক্তব্যে জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলি জেলার কার্যকারী সভাপতি প্রবীর ঘোষাল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!