এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আইনশৃংখলার অবনতি, বড়সড় আন্দোলনের ডাক দিলেন দিলীপ ঘোষ

আইনশৃংখলার অবনতি, বড়সড় আন্দোলনের ডাক দিলেন দিলীপ ঘোষ

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করে। সম্প্রতি সন্দেশখালি পর ভাটপাড়ার ঘটনা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার দিকেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আর যা নিয়ে প্রথম থেকেই শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছিলেন বিজেপি নেতারা।

কিন্তু আর বসে থাকা নয়, এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নজিরবিহীন অবনতির অভিযোগ তুলে আজ রাজ্যজুড়ে এসপি অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিল গেরুয়া শিবির।

প্রসঙ্গত, শনিবার বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা পরিস্থিতি। তৃণমূলের মিছিলের সামনে বিজেপির পক্ষ থেকে জয় শ্রীরাম শ্লোগান দেওয়া হলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি।

অন্যদিকে পাল্টা এই ব্যাপারে সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল। আর রাজ্যে এই লাগাতার সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে চলায় রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে দলের কর্মসূচি নিয়ে মুখ খোলেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃংখলার অবস্থা এখন যেরকম তা সারাদেশের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বিজেপি কর্মীদের রক্ষা করবার জন্য রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। সোমবার দুপুর বারোটা থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারের অফিসে বিজেপির বিক্ষোভ আন্দোলন হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর তাই তো তারই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করতে আজ পথে নামছে তারা।

অন্যদিকে এদিন কাটমানি নিয়েও তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “কাটমানির কথা মুখ্যমন্ত্রী যে এতদিন জানতেন না এমন তো নয়। উনি সব জানতেন, কিন্তু এতদিনে তা স্বীকার করেছেন। কাটমানির ভাগ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও পান। তাই এই কাটমানি ফেরতের দাবিতে আগে কালীঘাট ঘেরাও করা উচিত।”

অন্যদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচারী ভ্রষ্টাচারী নেতাদের পুলিশ সুরক্ষা দিচ্ছে। অথচ পুলিশের সামনে দুষ্কৃতীরা গুলি চালালেও পুলিশ কিছু বলছে না।” অন্যদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়েও এদিন নিজের বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু সমাজের মানুষদের চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে তারা যেন ব্যবহৃত না হয়, তা না হলে কিন্তু এবার তাদের সুরক্ষা নিয়েই সংশয় দেখা দেবে।”

সব মিলিয়ে এবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রতি প্রশ্ন তুলে দিয়ে শাসকদলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে আজ রাজ্যের প্রতিটি জেলায় বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হলে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক কতটা উত্তপ্ত হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!