রাজ্যে বাকি আসনে পদ্মফুল ফোটানোর লক্ষ্যে দায়িত্ব পেলেন ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের কারিগর এই বিজেপি নেতা কলকাতা জাতীয় রাজ্য April 27, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে 22 থেকে 23 টি আসন নিজেদের দখলে রাখবার জন্য বহুদিন আগে থেকেই রাজ্য নেতৃত্বকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই তিন তিনটে দফায় মোট দশটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এরাজ্যে। আর সেই 10 টি নির্বাচন হওয়া কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশই বিজেপি তাদের দখলে রাখবে বলে রাজ্য বিজেপির নেতারা দাবি করলে আগামী 29 এপ্রিল এর চতুর্থ দফায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এবার আগামী সপ্তম অথবা শেষ দফার নির্বাচনে রাজ্যের যে নটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, সেই আসনগুলিতে পদ্ম ফোটানোর সম্ভাবনাকে নিশ্চিত করতে চাইছে বিজেপি। জানা গেছে, শেষ দফায় যাদবপুর, বারাসাত, দমদম, ডায়মন্ডহারবার, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, উত্তর কলকাতা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় বলে পরিচিত দক্ষিণ কলকাতায় নির্বাচন রয়েছে। আর খোদ কলকাতা এবং কলকাতার আশেপাশের কেন্দ্রগুলোকে দখলে আনতে পারলে ক্ষমতার অনেকটাই কাছে চলে যাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এবার দীর্ঘ অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ত্রিপুরা জয়ের প্রধান কারিগর সুনীল দেওধরকে রাজ্যে আনল গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রাক্তন প্রচারক সুনীল দেওধর কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন। আর শহরে এসেই কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র বসুর সঙ্গে ইতিমধ্যেই এক দফার বৈঠক সেরে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু যে রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহর মতো নেতারা প্রচার করতে আসছেন, সেখানে সুনীল দেওধরকে আনার পেছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির নির্বাচনী কমিটির অন্যতম সদস্য শিশির বাজোরিয়া বলেন, “যদি সুনিল দেওধরের অতীত দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন ভোটযুদ্ধে সাফল্যের খতিয়ানে ওর রেকর্ড ঈর্ষনীয়। তাই রাজ্যের শেষ দফার ন’টি লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনাকে নিশ্চিত করতে সুনীল দেওধরকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, 2005 সালে আরএসএস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুনিল দেওধর বহু রাজ্যে কাজ করেছেন। এমনকি গত 2014 সালে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র বারাণসীতে উপরে থেকে দলীয় সংগঠনকে অনেকটা ও চাঙ্গা করার কৃতিত্ব তার উপর বর্তেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন বামেদের দখলে থাকা ত্রিপুরায় একেবারে দেড় শতাংশ ভোট থেকে তা টেনে নিয়ে গিয়ে সেই ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষমতা দখলের পেছনেও রয়েছে সুনীল দেওধরের কৃতিত্ব বলে দাবি বিজেপির। আর এহেন ব্যাক্তিকে রাজ্যে এনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে উৎপাটিত করে সেখানে পদ্ম ফোঁটাতে চায় বিজেপি। কিন্তু এই বিষয়ে কি বলছে সেই সুনীল দেওধর? এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলা জয়ের লক্ষ্যে আমাকে পাঠানো হয়েছে। ত্রিপুরা থেকে বামেদের সরকারকে উৎখাত করার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। সেটাই এখানকার কার্যকর্তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে আমরা কাজ করব।” সব মিলিয়ে ত্রিপুরা জয়ের প্রধান কারিগর সুনীল দেওধরকে রাজ্যে এনে আদৌ বাংলা থেকে বিপুল আসুন নিজেদের দখলে রাখতে পারে কিনা গেরুয়া শিবির, তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত। আপনার মতামত জানান -