রাজ্য বিজেপির দপ্তরে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের, সামনে এলো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বড়সড় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির কলকাতা রাজ্য September 11, 2019 2019 এর লোকসভা ভোটের পর থেকেই রাজ্যে বিজেপি 2021 এর বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে সংগঠন বিস্তার করতে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে তারা সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালায় পশ্চিমবঙ্গে। যেখানে দেখা গেছে, সারা ভারতে বাংলা থেকে সবথেকে বেশি সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বকে ভাবাচ্ছে এখন অন্য চিন্তা। সংগঠন বাড়ার সাথে সাথে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যার প্রমাণ স্বরূপ আজ কলকাতায় রাজ্য বিজেপির দপ্তর অফিসে বিজেপি কর্মীদের ই বিক্ষোভ কর্মসূচি। নদিয়া দক্ষিণের জেলা সভাপতি মানবেন্দ্রনাথ রায়কে সরানোর দাবিতে এদিন কলকাতার রাজ্য বিজেপি দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায় রাজ্য বিজেপি কর্মীরা। এমনকি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ একটা সময় হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়, যা অত্যন্ত লজ্জার বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ জানিয়ে বলে, নদীয়া দক্ষিণে নিরপেক্ষ সাংগঠনিক নির্বাচন করতে গেলে নদীয়া জেলা সভাপতিকে অর্থাৎ মানবেন্দ্রনাথ রায়কে অবশ্যই তাঁর পদ থেকে সরাতে হবে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং নদিয়া জেলা কমিটির নেতৃত্ব কে বুঝিয়ে দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করলে তা বিফল হয়। উল্টে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়া করে জেলা সাংগঠনিক নেতারা। সূত্র থেকে জানা গেছে, নদীয়া দক্ষিণ জেলা সভাপতি মানবেন্দ্রনাথ রায়ের বিরুদ্ধে প্রায় 30 এর বেশি মন্ডল সভাপতি এককাট্টা হয়ে লিখিত অভিযোগে সাইন করেছেন। তবে এ বিষয়ে সঞ্জয় সিং পুরো ব্যাপারটি সামলানোর জন্য জানান, ‘কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেটা মিটে গিয়েছে।’ কিন্তু অন্যদিকে, নদিয়া বিজেপি নেতাদের গলায় রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে চড়া সুর বাঁধা। তপ্ত কন্ঠে তাঁরা জানায়, ‘গুলি খেয়ে মরছে জেলার কর্মীরা। আর রাজ্য নেতারা এখানে বসে আছে।’ এই ঘটনায় বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেয়। এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব অত্যন্ত ক্রুদ্ধ। চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে বিজেপির সংগঠনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে চলেছে সে কথা স্পষ্ট। তাই বিজেপির সংগঠনকে রক্ষা করতে পরবর্তী পদক্ষেপ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব কি নেবে সে দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -