এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য সরকারের চাপ বাড়িয়ে এবার অফিস খোলা নিয়ে মামলা হাইকোর্টে

রাজ্য সরকারের চাপ বাড়িয়ে এবার অফিস খোলা নিয়ে মামলা হাইকোর্টে


লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই সরকারি অফিস বন্ধের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিছু কিছু জায়গায় অল্প কর্মী গেলেও, সেভাবে কোনো অফিস খোলেনি। তবে পঞ্চম দফার লকডাউনে কিছুটা শিথিলতা জারি করার পরেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে 8 জুন থেকে অফিস খুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু এবার এই ব্যাপারেও রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

খবর, লোকাল ট্রেন এবং পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা না করে কেন সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তার ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে এই ব্যাপারে জবাব চাওয়া হয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারেরই। আর এর ফলে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর অফিস খোলার ব্যাপারে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিলেও, হাইকোর্টে মামলা হওয়ায় এখন দুই সরকার কি জবাব দেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

এদিন এই প্রসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস বলেন, “লোকাল ট্রেন কবে থেকে চলাচল করবে, সেই ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যে সংখ্যক বাস চালানো হচ্ছে তাদের সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার আগামী 8 জুন থেকে 70% কর্মী নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খোলার কথা ঘোষণা করেছে। পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থা না করে এমনটা করার অর্থ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। অবিলম্বে আদালত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনো সুস্পষ্ট নীতি নেই বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন অনিন্দ্য কুমার দাস। এছাড়াও পর্যাপ্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়নি বলেও সরব হয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে অফিস খোলা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল, তাতে পরিস্থিতি অনেক দূর পর্যন্ত গড়াতে পারে। কেননা মামলাকারী উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন।

সেদিক থেকে পরিবহন ব্যবস্থা যদি সচল না হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকে, তাহলে কিভাবে কর্মচারীরা অফিসে পৌছবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফলে এই জনস্বার্থ মামলা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেই অনেকটা চাপে রাখবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এখন এই জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই সরকার আদালতে কি বক্তব্য প্রদান করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!