বাড়ছে সংক্রমণ মেনে নিচ্ছেন রাজ্য মুখ্যসচিবও, জোর আতঙ্ক রাজ্যে ! কলকাতা রাজ্য April 24, 2020 এই বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে করোনার কাল বিষ। ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ রক্ষা পায়নি এই বিষধর ভাইরাসের ছোবল থেকে। মৃত্যু-মিছিল কে সঙ্গে নিয়ে দিনে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৫৮ জন এই মরণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের নিরিখেই হিসাব করতে গেলে এই দিনের আক্রান্ত সংখ্যাই সর্বোচ্চ স্তরে আছে। আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, নতুন আক্রান্তদের ৮০ শতাংশ মানুষই কলকাতায় বসবাস করেন। ৫৮ জনের মধ্যে ২২ জন সংক্রমিত হয়েছেন পারিবারিক সূত্রে। এখন প্রশ্ন ওঠে কলকাতার কোথায় এবং কেন বাড়ছে সংক্রমণ? এর উত্তরে মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘মূলত ঘনবসতি ও ঘিঞ্জি এলাকায় সংক্রমণ বেশি। প্রশাসন বার বার ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে বলছে, ঘরে ঢুকিয়েও দিচ্ছে। কিন্তু ঘরের মধ্যেও যে-শারীরিক দূরত্ব থাকা দরকার, ওই সব এলাকায় তা বজায় রাখা সম্ভব নয়। এটা আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।’’হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন সংক্রমণের হার সামান্য হলেও কমেছে। তিনি আরো জানিয়েছেন ‘‘কলকাতায় লকডাউনেও জরুরি পরিষেবা খোলা রাখতে হয়েছিল। বাজার খোলা ছিল। ফলে মেলামেশা বেশি হয়েছে। মনে হচ্ছে, সেটাও নতুন সংক্রমণের কারণ”। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এর আগেও আমরা দেখেছি করোনার যুদ্ধ লড়তে গিয়ে চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই ছবি আবারো উঠেলো আমাদের সামনে উঠে এসেছে।আরজি কর সূত্রের খবর, ট্রমা বিল্ডিংয়ে সিটি স্ক্যানের এক কর্মীর করোনা হয়েছে। তিনি আছেন এমআর বাঙুর হাসপাতালে।কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের আক্রান্ত এক ইন্টার্ন এবং পাঁচ জন সাফাইকর্মীকে এ দিন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। উপসর্গ মেলায় মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালের এক ডাক্তার ভর্তি হয়েছেন আইডিতে। শিয়ালদহ সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের সংক্রমিত স্বাস্থ্যকর্তার স্ত্রীরও করোনা ধরা পড়েছে। আইডিতে সিসিইউয়ের সংক্রমিত রোগির সংস্পর্শে আসায় চার ইন্টার্ন, তিন নার্স এবং এক সাফাইকর্মীকে কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানো হয়। এছাড়াও রাজ্যে আটজন আরপিএফ এই মরণ ভাইরাস এর আওতাধীন হয়ে পড়েছেন এই ঘটনাটিকে রাজ্য সরকার এখন চরম আতঙ্ক রাজ্যে বাস করছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের সুরক্ষার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন মুখ্য সচিব। তিনি জানান চিকিৎসকেরা সুস্থ না-থাকলে কোভিড রোগীদের সুস্থ করা মুশকিল। কোনও হাসপাতালে এক চিকিৎসক সংক্রমিত হলে সেই প্রতিষ্ঠানের অংশবিশেষ বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। সেই জন্য চিকিৎসক-নার্সদের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার।’’ প্রায় ৭০ % আক্রান্তদের মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। যাঁরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশের বয়স ৪০ থেকে ৬০ বা তার বেশি। বেশ কিছু শিশুর দেহেও করোনার সংক্রমণ মিলেছে।মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘পরীক্ষা হচ্ছে ১২টি পরীক্ষাগারে। প্রথমে গড়ে ২০০ নমুনা পরীক্ষা হচ্ছিল। সেটা এখন ৮০০-৯০০-য় পৌঁছেছে। কেন্দ্র পর্যাপ্ত কিট দিলে পরীক্ষার হার আরও বাড়ানো হবে।’’ নাইসেডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায় নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে। ১৩-১৭ এপ্রিল মধ্যে কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে ২২৩টি নতুন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এরমধ্যে ২৩ জনের দেহে করোনা ধরা পড়ে।আবার ১৮-২২ এপ্রিল ১০১৭টি নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা পজ়িটিভের সংখ্যা ৯৭ জন। আপনার মতামত জানান -