এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই নেই দুই ‘মাটি থেকে উঠে আসা’ জনপ্রিয় নেতার! ক্ষোভ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে

রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই নেই দুই ‘মাটি থেকে উঠে আসা’ জনপ্রিয় নেতার! ক্ষোভ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে


রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই নেই দুই ‘মাটি থেকে উঠে আসা’ জনপ্রিয় নেতার! ক্ষোভ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের যা নিয়ে একের পর এক পোস্ট পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে ব্যাপক সংখ্যক আসন নিয়ে মোদী ফের দিল্লির মসনদের বসেছে। আর বিজেপির সেই স্বপ্ন পূরণের অন্যতম কারিগর ছিল বাংলায়ও। শাসকদল তৃণমূলের থেকে ১৮ টি আসন জিতে নেয় বিজেপি।

আর তারপর থেকেই ২০২১ এ বিজেপি বাংলা দখলের স্বপ্নে বুঁদ। কেননা ২০১৪ র আগে বিজেপি রাজ্যে সেভাবে খাতা খুলতে পারেনি। ২০১৪ তে খাতা খুললেও ২ টোর বেশি আসন পায়নি, ২০১৬ বিধানসভা ভোটে সেটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ টা। এরপর ২০১৯ এ তৃণমূল ৪২ এ ৪২ ঝড় তুললেও ঘাসফুলসিবিরকে ধাক্কা দিয়ে ১৮ টি আসন যেতে গেরুয়া শিবির। আর অত্র পরেই বেড়েছে উচ্চাকাঙ্খা। স্বাভাবিকভাবে বাংলার দিকে নজর দিয়েছেন খোদ অমিত শাহ, আছেন সভাপতি নাড্ডা। এদিকে নতুন করে আবার রাজ্য বিজেপির কমিটি তৈরী হয়েছে যারা সভাপতি দিলীপবাবুর সাথে কাঁদে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবেন। লক্ষ্য ২০২১ এর মসনদ দখল।

সেখানে তৃণমূল থেকে আগত মুকুল পন্থীদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে, যা অনেকে মেনে নিলেও বিজেপির একাংশ ভালো চোখে দেখেছে না। যে কারণে ফেসবুকে এ একের পর এক পোস্ট পড়ছে। তাদের দাবি যারা মাটি থেকে উঠে আসা নেতা, মার্ খেয়ে বিজেপি করা নেতা তারা প্রাক্তন তৃণমূলীদের চাপে ব্রাত্য। সেই তালিকায় অনেক নেতার পাশাপাশি রয়েছেন দুইজন। যাদের পদ না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিজেপির অন্দরেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

১. দেবজিৎ সরকার – তিনি আগে যুব মোর্চার দ্বায়ীত্বে ছিলেন এবং নিজের কাজ খুব ভালোভাবেই সামলেছেন। নতুন কমিটি হবার পর দেখা যায় তাঁত জায়গায় বসানো হয়েছে বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ ও বর্তমান বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। সৌমিত্র খাঁ, এককালে কংগ্রেস ও তৃণমূল এ যুবর পদ অত্যান্ত দক্ষতার সঙ্গেই সামলেছেন। আর তাই এবার শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর উপরেই ভরসা করে তৃণমূলের যুবকে ভাঙা ও জুভদের বিজেপিতে আনার দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। আর সৌমিত্র খাঁ- এর পদ পাওয়া নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। দেবজিৎ সরকার নিজে যদিও দাবি করছেন তিনি এই নিয়ে খুশি, পদ হারানো নিয়ে কোনো দুঃখ নেই, দল যা ভালো বুজেছে করেছে। কিন্তু তাঁর অনুগামীরা কিছুতে পদহীন নেতাকে মেনে নিতে পারছেনা।

এই নিয়ে ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট পড়ছে। তাদের দাবি যদি দেবজিত্কে সরিয়ে সৌমিত্রকে পদ দেওয়া হলো তবে কেন দেবজিৎকে অন্য কোনো পদ দেওয়া হলো না। তিনি মাটি থেকে উঠে আসা নেতা।দীর্ঘদিন তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়েছেন এখনো লড়ছেন।ফলে অনেকের থেকে অনেক যোগ্য তিনি। তাঁকে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া উচিত ছিল। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে তাঁকে শ্রীরামপুরের টিকিট দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি থেকে পরাজিত হন।

২. দুধকুমার মন্ডল – তিনি বীরভূমের লড়াকু নেতা, দলের জন্য তিনি জমিবাড়ি বিকিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর সমর্থকদের। তাদের দাবি বীরভূমে যদি কেউ বিজেপির হয়ে বুক চিতিয়ে লড়ে তবে তিনি হলেন দুধকুমার মণ্ডল। তাঁকে কেন কোনো পদ দেওয়া হলো না। প্রসঙ্গত, ২০১৯ এ লোকসভা ভোটে বীরভূম আসন থেকে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি।

এই নিয়ে ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট পড়ছে। তাদের দাবি যে নেতা দলের জন্য সর্বস্ব দিয়েছেন। দলের জন্য লড়ছেন. দলের উপরমহলের সবাই জানেন যে দুধকুমার মন্ডল কতটা যোগ্য ,তার পরেও কেন তাঁকে কোনো পদ দেওয়া হলো না।

আর এদেরকে নিয়েই এখন তোলপাড় ফেইসবুক থেকে হোয়াটসাপের গ্রুপ। তাদের দাবি অনেক অযোগ্য লোককে পদ দেওয়া হয়েছে যোগ্য লোকদের না দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে তবে কি এবার ব্যপির অন্দরে আগুন লাগলো। নাকি পরিস্থিতি সামলে নেবে বিজেপি। তবে তৃণমূল যে একে ঢাল করবেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!