এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী দলের সেকেন্ড কম্যান্ড! খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে?

এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী দলের সেকেন্ড কম্যান্ড! খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে?

লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে বিজেপি শাসিত পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করেছিল জাতীয় কংগ্রেস। যেখানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ছিল মধ্যপ্রদেশ। সেইখানে প্রায় 15 বছরের শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস সরকার। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে ধোঁয়াশা ছিল। তবুও আগত লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী পদে অভিজ্ঞ ব্যাক্তি কমলনাথকে দায়িত্ব দেন তদানীন্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই দৌড়ে কমলনাথের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কংগ্রেসের আরেক নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজে লাগাতে তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে অভিযুক্ত করেননি রাহুল গান্ধী। কিন্তু বর্তমানে যখন 2019 সালের নির্বাচনে ব্যাপকভাবে জয়যুক্ত হয়েছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার, ভেঙে খান খান হয়ে গেছে কংগ্রেসের দিল্লি দখলের স্বপ্ন, তখন সামনের হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মধ্যে বাড়তে থাকা রাজনৈতিক গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে জেরবার জাতীয় কংগ্রেস।

কমলনাথ সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রকাশ্যেই অভিযোগ করতে শুরু করেছেন, নির্বাচনের পূর্বে কৃষকদের ঋণ সম্পূর্ণভাবে মুকুব করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি কমলনাথ সরকার। একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ্যেই কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, “দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মুকুব করা হবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জাতীয় কংগ্রেস। কিন্তু আমাদের পরিচালিত রাজ্য সরকার কেবল মাত্র 50 হাজার টাকা ঋণ মুকুব করতে পেরেছে। অবিলম্বে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মুকুব করা উচিত সরকারের।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যবাসীর কৃষকদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। সেখানে তিনি বলেন, “তার সরকার কুড়ি লক্ষ কৃষকদের ঋণ মুকুব করেছে। এমনকি মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সরকার ঋণ মুকুব করার উদ্যোগ নিয়েছে।”

কিন্তু বর্তমানে নিজের দলেরই ডাকসাইটে নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রশ্নবাণে জর্জরিত মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। প্রকাশ্যেই তিনি বলে চলেছেন, কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মধ্যপ্রদেশের সরকার 10 দিনের মধ্যেই সব ঋণ মুকুব করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, যখন দেশজুড়ে কংগ্রেসের দুরবস্থা চলছে, তখন সামনের গুরুত্বপূর্ণ মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা নির্বাচনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার এই মন্তব্যের জেরে রীতিমত ব্যাকফুটে পড়তে পারে জাতীয় কংগ্রেস।

এমনিতেই মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে হরিয়ানা পর্যন্ত অনেক প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতারা নিজেদের দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী মানসিকতায় অবতীর্ণ হয়েছে। তার মধ্যে দায়িত্বশীল কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্যবাবু যদি এইভাবে নিজেদের সরকারকে তুলোধোনা করতে থাকেন, তাহলে নির্বাচনের আগেই ভারতীয় জনতা পার্টি কংগ্রেসকে আক্রমণ করার নতুন হাতিয়ার পেয়ে যাবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। তাই আগামী দিনে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয়! এখন সেদিকেই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!