রাজ্য সরকারের কাজে ঢিলেমি দেখলে এবার অভিযোগ জানান সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত কমিশনে কলকাতা রাজ্য December 31, 2018 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পরে ক্ষমতায় এসেই সাধারণ মানুষ যাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে কোনো রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষকে সঠিক সময়ের মধ্যে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছিল জন পরিষেবা অধিকার আইনও। যে আইনের মাধ্যমে একটি দপ্তর যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন গ্রাহককে তাঁর পরিষেবা পৌঁছে না দেয় তাহলে সেই দপ্তরের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু একটি দপ্তরের বিরুদ্ধে প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে ধাপে ধাপে অভিযোগ জানানোর ব্যাপারটি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ হওয়ায় এবার তার জট খুলতে উদ্যোগী হচ্ছে সেই জন পরিষেবা অধিকার আইনের আওতায় থাকা কমিশন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই রাইট টু পাবলিক সার্ভিস কমিশন ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছে ঠিক কতটা পরিষেবা পৌঁছে সেই ব্যাপারটি তদারকি করছেন। মূলত সরকারি স্তরে ঠিক কতটুকু কাজ এগিয়েছে তা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে এই কমিশন। এদিকে সরকারের তরফে সঠিক পরিষেবা সঠিক সময় গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনামা জারি করা হলেও এখনও পর্যন্ত অনেকেই সেই ব্যাপারটি নিয়ে খুশি নন বলে জানিয়েছে রাইট টু পাবলিক সার্ভিস কমিশন। তাই মানুষের কাজ যাতে সঠিক সময়ে হয় সেই ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তর গুলির গাফিলতি রাজ্য সরকারের কাছে এনে তা সমাধান করতে উদ্যোগী হচ্ছে এই কমিশন। এদিন এই প্রসঙ্গে এখানকার মুখ্য কমিশনার অরূপ রায় চৌধুরী বলেন, “পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে প্রচুর চিঠি এবং ফোন আমরা পাচ্ছি। তাই সাধারন মানুষ যদি এখন থেকে কোনো পরিষেবা না পান তাহলে নির্দিষ্ট দিনের পর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, বা ইমেইল ও চিঠি লিখুন। তাহলে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সুরাহা করার চেষ্টা করব।” সব মিলিয়ে এবার সরকারি পরিষেবা পেতে যাতে সাধারন মানুষ কোনো রকম ভোগান্তির মধ্যে না পড়ে সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাইট টু পাবলিক সার্ভিস কমিশনও। আপনার মতামত জানান -