এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপালের পৃথক সচিবালয়ে না – আরও তীব্র হতে চলেছে রাজ্য সরকারের সংঘাত?

রাজ্যপালের পৃথক সচিবালয়ে না – আরও তীব্র হতে চলেছে রাজ্য সরকারের সংঘাত?

কিছুদিন আগেই নতুন রাজ্যপাল হিসেবে নিজের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন জগদীপ ধনকার। কিন্তু বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই রাজ্যের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার মতানৈক্য তৈরি হলে সর্বশেষ যাদবপুরের ঘটনা সেই সমস্ত কিছুকে আরও উস্কে দেয়।

পরবর্তীতে শিলিগুড়িতে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে রাজ্যপালের বৈঠক ডাকার ঘটনায় রাজ্যের সাথে তার দূরত্ব আরও প্রবল হয়। জানা গেছে, নিজের পদাধিকারবলে রাজ্য সরকার যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তৈরি করেছে, তার আচার্য হিসেবে রাজভবনে পৃথক সচিবালয় চালুর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বাংলা নতুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।

কিন্তু রাজ্যপালের সেই ইচ্ছার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে মত পোষণ করে আইন অনুযায়ী রাজভবনে এই ধরনের পৃথক সচিবালয় চালুর কোনো জায়গা নেই বলে সরকারের তরফে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এই ঘটনা এখন রাজ্য রাজনীতিতে নবান্ন বনাম রাজভবনের দূরত্ব এবং সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যপালের প্রধান সচিব সতীশ তেওয়ারি রাজ্যপালের তরফে এই বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈনকে একটি চিঠি পাঠান। জানা যায়, ঘনিষ্ঠমহলে এই বিষয়ের উপর সওয়াল করে রাজ্যপাল বলেছেন, “রাজ্যপাল হওয়ার কারণে আমি যদি পদাধিকারবলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হই, তাহলে সেই দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করাই আমার কর্তব্য। পুতুল আচার্যর মত আমন্ত্রিত ভিভিআইপি হিসেবে মাঝেমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য এই দায়িত্ব আমায় দেওয়া হয়নি। আর তাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য রাজভবনে আচার্যের একটি আলাদা সচিবালয় থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবকেও এই অফিসে বসতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর রাজভবন থেকে রাজ্যপালের এই চিঠি পেয়ে মহা বিপাকে পড়েন শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আর এতে প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে দপ্তরের প্রধান সচিবকে তিনি জানিয়ে দেন রাজ্যপালের এই প্রস্তাব খারিজ করার কথা। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই মনীশ জৈন শিক্ষামন্ত্রীর কথা তুলে ধরে রাজভবনে সেই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অন্য কোন রাজ্যে কি হচ্ছে সেটা আমাদের দেখার কথা নয়। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটা জনপ্রিয় সরকার চলছে। সেই সরকার মানুষের কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়। রাজভবনে আচার্যের পৃথক সচিবালয় চালু করার কোনো প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করছি না। তাই রাজভবনের চিঠির জবাব যা দেওয়া উচিত শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবকে তা দিতে বলা হয়েছে।”

আর এবার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজভবনের এহেন প্রস্তাব রাজ্যের তরফ সম্পূর্ণ নাকচ করে দেওয়ায় রাজভবনের তরফে ঠিক কি প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!