এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যে মাংসের ঘাটতি মেটাতে বিকল্প পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার

রাজ্যে মাংসের ঘাটতি মেটাতে বিকল্প পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার

মাংসের ঘাটতি চলছে। আর তাই এবার গাড়োল ভেড়া চাষ করে বাংলায় সেই মাংসের ঘাটতি মেটানোর পরিকল্পনা করছে রাজ্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর। সূত্রের খবর, আপাতত বহরমপুরে রাজ্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর গাড়োল ভেড়া পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করবে। আর যদি তা সফলতা পায়, তাহলেই রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে তা দেখতে পাওয়া যাবে। বস্তুত, কিছুদিন আগেই সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশনের একটি অনুষ্ঠানে এসে এই গাড়ল ভেড়া দেখে তার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।

মূলত, বিশেষ প্রজাতির এই ভেড়া সুন্দরবন এলাকায় দেখা গেলেও আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। জানা যায়, সাধারণ ভেড়ার থেকে এগুলো অনেকটাই আলাদা এবং এর মাংসও বেশ সুস্বাদু। এই গাড়োল ভেড়ার লোম থেকে কার্পেট, জ্যাকেট তৈরি হয়। এছাড়াও এর চামড়া দিয়ে ব্যাগ তৈরি হয়। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “পরীক্ষামূলকভাবে চাষে সফল হলে সারা রাজ্যেই এই ভেড়া চাষের উদ্যোগ নেওয়া হবে। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা তা চাষ করে স্বনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারবেন।

ইতিমধ্যে ডিম উৎপাদনে আমরা ভালো জায়গায় চলে এসেছি। এক বছরের মধ্যে আশা করছি ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভরশীল হতে পারব। মাংস এবং ডিমের ঘাটতি মেটাতে প্রচুর সংখ্যক হাঁস, মুরগি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্ল্যাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল বিলিও হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা গাড়োল চাষের দিকেও এগব।”

আধিকারিকদের মতে, সাধারণ ভেড়ার মাংস অনেকেই খেতে চান না। কিন্তু সেদিক থেকে এই গাড়োল ভেড়ার মাংস অনেকটাই সুস্বাদু। এতে ফ্যাটও কম থাকে। বিশেষত সুন্দরবন এলাকায় অনেকেই এই ভেড়ার চাষ করে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনেছেন।

প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রের খবর, এরাজ্যে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংসের চাহিদা বেশি রয়েছে। এই মাংস সুস্বাদু। ১০০দিনের কাজ প্রকল্পে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনেক গ্রামেই ব্ল্যাক বেঙ্গল চাষ হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও বিভিন্ন জায়গায় খামার তৈরি হচ্ছে। ছাগলের পাশাপাশি বিশেষ প্রজাতির এই ধরনের ভেড়া চাষ করেও বহু পরিবারের আয় বাড়তে পারে বলে আধিকারিকরা মনে করছেন। তবে সমস্ত পরিবেশে এই গাড়োল ভেড়া আদৌ বেড়ে উঠতে পারবে কিনা তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, “কিছু প্রাণী নির্দিষ্ট এলাকাতেই বেড়ে ওঠে। দেশীয় প্রজাতির এই ভেড়া সুন্দরবন এলাকাতেই চাষ হয়। সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে তারা সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু অন্যান্য জেলায় আদৌও এই চাষ করা সম্ভব কিনা সেটা আমরা দেখতে চাইছি। সব জেলায় না হলেও মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে এই চাষ সম্ভব হবে। ভিন রাজ্যে অন্য পরিবেশে বেড়ে ওঠা কড়কনাথ মুরগি এরাজ্যে চাষ হচ্ছে। তাই উদ্যোগ নিলেও গাড়োল চাষও সম্ভব।” তবে এই ব্যাপারে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিক তারাশঙ্কর পান বলেন, “আমরা গাড়োল সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!