এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্য সরকারের ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ – আজ থেকে রেশন দোকানে ব্র্যান্ডেড নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রী

রাজ্য সরকারের ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ – আজ থেকে রেশন দোকানে ব্র্যান্ডেড নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রী

রাজ্য সরকারের রেশন দোকানের মাধ্যমে নামী ব্রান্ডের নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির অভিনব প্রকল্পটি চালু হচ্ছে আজ থেকেই। প্রথম পর্যায়ে উওর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় ৬ টি মডেল রেশন দোকানের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি জনসমক্ষে আসছে।

এরপর রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকেও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন আমজনতারা। খাদ্য ভবন থেকেই সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির শুভ সূচনা করবেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অনুষ্ঠান হবে সল্টলেক, দমদম, বারাসাত, বারাকপুর, বনগাঁ, বসিরহাটে চালু হওয়া ছটি মডেল রেশন দোকানেও। ছটি মডেল রেশন দোকানের পাশাপাশি  উত্তর ২৪ পরগনার অন্য রেশন দোকানগুলোতে অর্ডার মাফিক পন্য সরবারহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি চালাতে সর্ব ভারতীয় একটি শপিং মল চেইন সংস্থার সঙ্গে খাদ্য দপ্তরের চুক্তি হয়েছে। আপাতত প্রায় ৪০০ ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করবে এই সংস্থাটি।

তেল,নুন,আটা,শ্যাম্পু,সাবান,ময়দা,বিস্কুট,টুথপেস্ট ইত্যাদি থাকবে সরবরাহের তালিকায়। এলাকাবাসীর চাহিদার দিকে নজর দিয়েই পন্য সামগ্রী আমদানি করবেন। পন্যদ্রব্যের বড় প্যাকেটের পাশাপাশি রাখা হচ্ছে ছোট পাউচও যাতে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা মানুষগুলোর কিনতে কোনো অসুবিধা না হয়।

চলতির আর্থিক বছরের মার্চ মাসের মধ্যে রাজ্যে প্রায় ২০ হাজার রেশন দোকানকে এই প্রকল্পের আওতাধীন করার পরিকল্পনা রয়েছে খাদ্য দপ্তরের। এরজন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই নির্দিষ্ট পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। এতোদিন রেশন দোকান থেকে সস্তা এবং নিম্নমানের অনামী ব্রান্ডের পন্যদ্রব্য সাপ্লাই করা হতো, যার জেরে এসব রেশনে পাওয়া দ্রব্যের কোনো চাহিদা ছিল না গ্রাহকদের কাছে। বাম আমল থেকে এমনটাই চলে আসছে। ক্রেতারা না কিনলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতেন রেশন ডিলাররা।

 কিন্তু নতুন এই প্রকল্প চালু হওয়ায় অবস্থা পাল্টাবে বলেই আশ্বাস দিলেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। তিনি আরো জানালেন, বিগত বছর গুলোতে পন্যদ্রব্যগুলো কেনার জন্য নিগমের কাছে পুরো টাকাটাই আগাম দিতে হতো রেশন ডিলার দের। কিন্তু নতুন এই প্রকল্পটিতে এরকম ব্যবস্থা থাকছে না। ১৫ দিনের ধারে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাল সরবরাহ করবে বেসরকারি সংস্থাটি। ফলত মাল বিক্রি হওয়ার পর দাম মেটানোর সুযোগ পাবেন ডিলাররা। এছাড়া খাদ্য দপ্তর সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, রেশন দোকনে থেকে পাওয়া নামীদামী কোম্পানির পন্য সামগ্রীগুলোর দাম ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য (এমএসপি) থেকে ১৫-২০% অব্দি কম হবে। তবে পন্যের উপর ভিত্তি করে ছাড়ের মূল্য বাড়বে বা কমবে। তবে ১৫ দিন অন্তর পন্যদ্রব্যের দাম নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা জানিয়েছে খাদ্য দপ্তর। এই পন্যগুলো কেনার জন্য কোনো রেশন কার্ডের দরকার হবে না। যারা এখনো অব্দি ডিজিট্যাল রেশন পাননি বা নেননি তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

দীর্ঘদিন ধরে রেশন ডিলাররা রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের কমিশন বাড়ানোর দাবী করে আসছিল। সেটা পূরণ করা হচ্ছিল রাজ্যসরকারের আর্থিক চাপের কথা ভেবে। ওদিকে কেন্দ্র সরকার বলেই দিয়েছিল রাজ্য কমিশন বাড়ালে তার জন্য কেন্দ্র বাড়তি অর্থ রাজ্যকে দেবে না। এরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যসরকারের চালু করা নতুন প্রকল্প ডিস্ট্রিবিউটরদের আয় বৃদ্ধির বিকল্প পথের হদিশ দিল। এখন রাজ্যবাসীর কাছে এই প্রকল্প কতোটা গ্রহনযোগ্যতা পায় সেটাই দেখার। তবে আমজনতার মধ্যে এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে একটি বাড়তি কৌতূহল রয়েছে,এমনটাই জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!