এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য সরকারের বেতন নীতি নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন দলের হেভিওয়েট নেতা

রাজ্য সরকারের বেতন নীতি নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন দলের হেভিওয়েট নেতা

বকেয়া বেতনের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতাদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে দেখা গেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের বেতন নীতি নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী সংগঠনের এক প্রথম সারির নেতাকে।

বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহবায়ক তপন গড়াই বকেয়া বেতনের প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে লিখিত চিঠি দিয়েছেন বলে খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে দলের সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। শুধু তাই নয়, সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে দলীয়ভাবে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলেন শুভেন্দুবাবু।

এমনকি জানুয়ারি মাসের 8 তারিখে ওই সংগঠনকে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু বিগত 48 মাসের বকেয়া বেতন প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে লেখা তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারি সংগঠনের শীর্ষ স্তরের নেতা তপনবাবুর চিঠিকে কেন্দ্র করে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির অন্দরে। এই বিষয়ে তপনবাবু বলেন, “তিনি সরকারি কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে পরিবহনমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।”

শুধু তাই নয়, মন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পরে তপন গড়াই এর সঙ্গে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কথা হয়েছে বলেও জানান সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক। পাশাপাশি ফেডারেশনের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, তপনবাবু নিজস্ব উদ্যোগে চিঠি দিলেও সংগঠনের তরফ থেকে এরকম কোনো চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি।

অন্যদিকে আবার তপনবাবু পরিবহনমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেই চিঠি ফেডারেশনের প্যানেলে দেওয়া হয়েছে। আর তপনবাবু সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের একেবারে শীর্ষে থাকা তিনজনের মধ্যে একজন। জানা যাচ্ছে, পরিবহনমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তপনবাবু রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবিগুলোকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে আলোচনা করতে অনুরোধ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে সরকারি কর্মচারীদেরকে বেতন দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সুপারিশ অনুযায়ী, 2016 সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই বেতনক্রম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন ভাবে এই জানুয়ারি মাস থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ লাগু হবার পর থেকে 2016 থেকে শুরু করে 2019 সাল পর্যন্ত ওই সময়সীমার কোনো বকেয়া টাকা দেওয়া হবে না বলে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আর সেই কারণেই ফেডারেশনের আহ্বায়ক তপনবাবু নিজের চিঠিতে 48 মাসের বকেয়া টাকা কিস্তি ভিত্তিকভাবে অথবা প্রভিডেন্ট ফান্ড বিলের সঙ্গে জমা করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনকি এই ক্ষেত্রে পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার সময় কয়েক মাসের বকেয়া টাকা দিয়েছিল বলে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।

আবার তপনবাবুর ওই চিঠিতে এটা উল্লেখ করা হয়েছে, বামফ্রন্ট সরকার 27 মাসের বকেয়া বেতন দেয়নি। সব কিছু মিলিয়ে বকেয়া বেতনের প্রসঙ্গে সংগঠনের শীর্ষ নেতার অবস্থান এবং ফেডারেশনের আরেক অবস্থান রীতিমতো জল্পনা তৈরি করে দিয়েছে সরকারি কর্মী সংগঠনের মধ্যে। এখন এই নিয়ে আগামীতে কোনো রকম জল ঘোলা হয় কিনা, নাকি সুষ্ঠুভাবেই সবকিছু সম্পন্ন হয়! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!