এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > চাকরি > রাজ্য সরকারের নির্দেশে দু হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ শীঘ্রই – জানুন বিস্তারিত

রাজ্য সরকারের নির্দেশে দু হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ শীঘ্রই – জানুন বিস্তারিত

লোকসভা ভোটের মুখে ফের কর্মসংস্থান নিয়ে বড়সড় ঘোষণা রাজ্যসরকারের। সরকারি ধান কেনার কেন্দ্রগুলিতে অস্থায়ী দু’হাজার কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে খাদ্যদপ্তরকে সবুজ সংকেত দিয়ে দিল রাজ্যের অর্থদপ্তর। রাজ্যের যুবশ্রী তালিকাভুক্তরা এই নিয়োগের আওতায় আসবে বলে জানিয়ে দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

দপ্তর সূত্রে আরো জানা গিয়েছে,জেলাশাসকদের মাধ্যমে এই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। ইতিমধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকাও এজন্যে জেলশাসকদের অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাসিক ১১ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে এসব অস্থায়ী কর্মীদের। ছ’মাসের ভিত্তিতে এই নিয়োগ করা হলেও পরে চুক্তির মেয়াদ বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখে ‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক’ চালু করেছিল। এটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শ্রম দপ্তরকে। বেকার ছেলে-মেয়েরা কাজের জন্যে নিজেদের নাম এখানে নথিভু্ক্ত করে থাকেন। এসব তালিকাভুক্ত যুবক-যুবতীদের কাজের সন্ধান দেওয়াই হল এই এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের প্রধান উদ্দেশ্য।

পরবর্তীকালে,এই পোর্টালে নথিভুক্তদের মাসে দেড় হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার জন্যে যুবশ্রী প্রকল্প চালু করে সরকার। এই প্রকল্পের ভিত্তিতে এক লক্ষ কর্মপ্রার্থীদের এই ভাতা দেওয়া চালু করা হয়। তবে তার জন্য ওইসব সংশ্লিষ্ট কর্মপ্রার্থীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিতে হবে এমন শর্তকেও সামনে রাখা হয়।

এইসব কর্মপ্রার্থীদের মধ্যে যাদের কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ নেওয়া রয়েছে তাঁদেরকে ধান কেনা কেন্দ্রে নিযুক্ত করার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যারা এই কাজে ইচ্ছুক তাদের প্রয়োজনে কম্পিউটারের কাজ শিখিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে খাদ্য দপ্তর। সুবিধার জন্যে ধান ক্রয় কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকা থেকে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। এর জেরে প্রকৃত কৃষক কারা তাঁদের চিহ্নিতকরণ সহজ হবে বলেই মনে করছেন খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই চুক্তি অনুযায়ী আগামীদিনে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করার ব্যাপারে একটা ভাবনা চিন্তা রয়েছে দপ্তরের। যেহেতু ধান কেনার কাজটি প্রায় সারা বছর ধরেই চলে এই কাজে পরবর্তীকালেও আরো কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হবে বলেই মনে করছেন খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এক্ষেত্রে যুবশ্রীদের কর্মসংস্থানে আরো একটি পথ সুগম হল বলেই অভিমত বিশ্লেষকদের।

উল্লেখ্য,খাদ্যদপ্তর সূত্রে আরো জানা গিয়েছে,নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় চারশো ধরনের দ্রব্য অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে রেশন দোকানের আওতায় নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা করেছিল রাজ্যসরকার তা আগামী মার্চ মাস থেকেই চালু হতে চলেছে। এই প্রকল্প চালু হলে রেশন দোকানের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ দ্রব্যই মধ্যবিত্তের নাগালে চলে আসবে।

ইতিমধ্যে শপিং মল চেইন পরিচালনার সঙ্গে যুকত একটি সংস্থা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় রেশন দোকানে পন্য সরবরাহ করছে। এই জেলায় সাফল্যের নজির দেখে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা,হাওড়া এবং হুগলিতেও এই প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। চলতি বছরের আগষ্টের মধ্যে গোটা রাজ্যেই এই প্রকল্প চালু হয়ে যাবে বলে আশা রয়েছে খাদ্য দপ্তরের। এই সপ্তাহেই ওই সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থা আয়োজিত কর্মশালায় যোগ দেন খাদ্যমন্ত্রী। এই সংস্থাটি রেশন ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের প্রশিক্ষণ দেবে বলেও ঠিক করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!