এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আয়ুর্বেদ মতে করোনা মোকাবিলায় বড়সড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের, স্বস্তিতে পুলিশ থেকে আমলা

আয়ুর্বেদ মতে করোনা মোকাবিলায় বড়সড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের, স্বস্তিতে পুলিশ থেকে আমলা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রাচীন যুগে মুনি-ঋষিরা যে কোনো কঠিন অসুখ হলেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসার মাধ্যমে তা সারিয়ে তুলতেন। বিভিন্ন গাছের পাতা এবং তার রস খাইয়ে সুস্থ করে তোলা হত রোগীদের। পেট খারাপ থেকে সর্দি কাশি, বিভিন্ন রোগের অন্যতম ওষুধ তুলসী পাতা। বর্তমানে ভারতবর্ষে এবং পশ্চিমবঙ্গে মারন ভাইরাস বাসা বেধেছে। যার নাম করোনা। দেশ নানা সময় অনেক কঠিন অসুখের মোকাবিলা করেছে। কিন্তু যে অসুখের কোনো ওষুধ নেই, তা সারবে কি করে! তাই বিশেষজ্ঞরাই করোনা ভাইরাসের দাপট শুরু হওয়ার পর থেকেই রীতিমত চিন্তায় ছিলেন।

নানা মহলে আলোচিত হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কার হল বলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে করোনা মোকাবিলায় প্রাচীন যুগের সেই আয়ুর্বেদের ওষুধই এবার যে সকলের কাছে আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা কার্যত স্পষ্ট। জানা গেছে, পুলিশ থেকে প্রশাসনিক আধিকারিক সবাই এখন করোনা মোকাবিলায় আয়ুষ ক্বাথ খাচ্ছেন। দিনে দুবার করে এই ভেষজ পাচন খেয়ে নিচ্ছেন তারা। যা থেকে করোনাভাইরাস অনেকটাই মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু এই ওষুধ তৈরির প্রধান উপকরণ তুলসীপাতা পাওয়া নিয়ে এখন সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে তুলসী পাতা যে শুধু জ্বর, সর্দির প্রতিষেধক তা নয়। এই তুলসী পাতা আবার গোবিন্দের চরনেও যায়। তাই হাওড়ার মল্লিকঘাট হয়ে উৎপাদিত বিভিন্ন তুলসী এখন ভগবানের পায়ে চলে যাচ্ছে। সেদিক থেকে করোনা ভাইরাস আটকাতে ওষুধ তৈরির জন্য সঠিক মাত্রায় তুলসীপত্রের যোগান না পাওয়ায় রীতিমতো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই সমস্যার মুশকিল আসান করতে এবার এগিয়ে এল রাজ্য সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এবার 100 দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে তুলসী চাষের উদ্যোগ নিল রাজ্য। জানা গেছে, কোচবিহারের 2 পঞ্চায়েতকে ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে দেড়শ জন চাষিকে নির্বাচিত করা হয়েছে তুলসীপাতা চাষের জন্য। বুধবার এই প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এই তুলসী পাতার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এক কেজি শুকনো পাতার দাম 40 থেকে 50 টাকা। কিন্তু এখন অর্থ দিয়েও এই তুলসী পাতা পাওয়া যাচ্ছে না।

তাই যখন করোনাকি আটকাতে প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ সকলে আয়ুস ক্বাথের সাহায্য নিচ্ছে, তখন তুলসী পাতার যোগানে ভাটা পড়ায় সেই তুলসী চাষে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য। যাতে তুলসী চাষের মধ্যে দিয়ে করোনা ভাইরাসকে আটকাতে প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয় এবং তা পৌঁছে যায় সকলের কাছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেষজ পদ্ধতি অবলম্বন করে করোনা ভাইরাস কেন, অনেক রোগকেই আটকানো সম্ভব। কেননা নিঃসন্দেহে উদ্ভিদের অনেক মূল্য রয়েছে।

যে কোনো গাছের পাতা কোনো না কোন মূল্যবান কাজে লাগে। সেদিক থেকে বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে অনেকে ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হলেও, প্রাচীন যুগের মানুষেরা এখনও পাতা এবং শেকড়ের উপর নির্ভরশীল। তাই করোনা ভাইরাস আটকাতে আয়ুর্বেদের ক্ষেত্রে সেই তুলসীপাতা ব্যাপক প্রভাব ফেলায় এখন তার চাষ করতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!