এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ২১ শে জুলাই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য হতাশাজনক রক্ষণশীলতার আর্তনাদ – দাবি সরকারি কর্মচারীদের

২১ শে জুলাই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য হতাশাজনক রক্ষণশীলতার আর্তনাদ – দাবি সরকারি কর্মচারীদের

লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম প্রকাশ্য কেন্দ্রীয় সমাবেশ। ফলে, ২১ শে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বার্তা দেন, সেদিকে নজর ছিল তাঁর নিজের দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের। এদিন নিজের রাজনৈতিক বক্তব্যের পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী ছুঁয়ে গেলেন, এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির সবথেকে চর্চিত বিষয়।

তৃণমূল নেত্রীর এদিনের বক্তব্যে উঠে এসেছিল ডিএ, পে-কমিশন ও শিক্ষকদের ন্যায্য বেতনের দাবিতে আন্দোলনের প্রসঙ্গ। কিন্তু, তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই তিন চর্চিত বিষয়ের কথা শুনে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের হতাশাই আরও প্রকট হল বলে দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের যে প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে তার নির্যাস দাঁড়াচ্ছে – বাংলায় পরিবর্তনের পরিবর্তন না হলে নিজেদের ন্যায্য বকেয়া পাওয়ার আশা করছেন না কেউই।

এদিন এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২১ শে জুলাইয়ের সভায় পে কমিশনের কথা? যদিও ” সাধ্যমত” শব্দটি যুক্ত ছিল। কে জানে ঐ শব্দটির মধ্যে কি লুকিয়ে আছে? তবে এটা বোঝা গেল “ঘেউ ঘেউ” শব্দ কানে প্রবেশ করেছে। কেন্দ্রীয় হারে বেতনে তাঁর তীব্র আপত্তি আছে – শিক্ষক, কর্মচারীদের আন্দোলনকেও বাঁকা চোখে দেখছেন। সব মিলিয়ে স্পষ্ট সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক আন্দোলনে তাঁর দলের উপর চাপ যথেষ্টই বেড়েছে। বিশেষ করে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে, পোস্টাল ব্যালটের ভিত্তিতে রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে ৪১ টি আসনেই তাঁর পরাজয় হওয়ার পর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দেবাশীষবাবু আরও বলেন, তৃণমূল নেত্রী পে-কমিশনের উল্লেখ করতে বাধ্য হয়েছেন, ডিএ নিয়ে সত্যের অপলাপ করেছেন। এমনকি, অনশনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের অপমান পর্যন্ত করা হয়েছে। তাঁর বক্তৃতার সবটা জুড়েই একটি বার্তাই স্পষ্ট – রাজনৈতিকভাবে একটি দলকেই ভয় পাচ্ছেন উনি, তার নাম বিজেপি। সব মিলিয়ে, আজকে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণকে যদি এককথায় বর্ণনা করতে হয়, তাহলে তা হতাশাজনক রক্ষণশীলতার আর্তনাদ ছাড়া আর কিছুই নয়।

সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষবাবু এরপরে বলেন, তবে এটা আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত নয়। মানববন্ধন, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানের কুশপুত্তলিকা দুবার দুজায়গায় পোড়ানো, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবী করে তীব্র আন্দোলন, সর্বশেষ পর্যায়ে বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধির ঘোষণা যে জুলাই মাসের মধ্যেই সুপারিশ প্রকাশ করা হবে ইত্যাদি ঘটনার পরম্পরায় এ বক্তব্যই স্বাভাবিক। সবমিলিয়ে একটা কথাই বলতে পারি সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের এই হার না মানা মনোভাব নিয়ে রাস্তায় নেমে বারবার আন্দোলন রাজ্যের শাসকদলের যে ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে তা আজ তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

শেষে অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে দেবাশীষবাবু বলেন, উনি বলেছেন, সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে বেতন চান – তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের হয়েই কাজ করুন না, খুশি হব। অর্থাৎ কর্মচারী নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার আর চলে যেতে হবে কেন্দ্রে? আদৌ কেন্দ্রীয় হারে বেতন রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা পাবেন কি না তা নিয়ে আমরা পূর্ণ সন্দেহ প্রকাশ করছি। তবে তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একটা কথাই বলতে পারি, আজকের পর বৃহত্তর আন্দোলনের জমি তৈরি হল। আমরা নিশ্চিত,২০২১-এ বিজেপি নবান্নে আসীন হবে, তখন সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে শিক্ষকরা নিজেদের প্রাপ্য কেন্দ্রীয় হারে বেতন পাবেন, তার আগে কিছুতেই নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!