এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুলিশের চোখরাঙানি ও বৃষ্টির কলতান উপেক্ষা করে ডিএ-পেকমিশনের ন্যায্য দাবিতে সরব সরকারি কর্মীরা

পুলিশের চোখরাঙানি ও বৃষ্টির কলতান উপেক্ষা করে ডিএ-পেকমিশনের ন্যায্য দাবিতে সরব সরকারি কর্মীরা


রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছেন, ডিএ ও পে-কমিশন নিয়ে বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে নজিরবিহীন বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। তার থেকেও বড় অভিযোগ এই বঞ্চনা নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করে মুখ খুললেই তাঁকে ‘বদলি-সন্ত্রাসের’ শিকার হতে হয়েছে। এর আগে ডিএর ফারাক যখন আকাশ ছুঁতে শুরু করে – তখনের আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু, অভিযোগ ওঠে তার ভিত্তিতে তাঁদের ‘ঘেউ ঘেউ করবেন না’ জাতীয় অসংসদীয় শব্দবানে বিদ্ধ হতে হয়েছে।

এদিকে ডিএ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জিতে গেলেও, রাজ্য সরকার এখনও এই নিয়ে কোনো সদর্থক কিছু জানায়নি। উল্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, টাকা নেই, তাই নাকি তিনি ডিএ দিতে পারছেন না। অথচ সরকারি কর্মচারীদের হিসেব, শুধুমাত্র সময়ে ন্যায্য ডিএ না দিয়ে বর্তমান সরকার গত ৬ বছরে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা কোষাগারে ফিরে পেয়েছে! এর পাশাপাশিই যে পে-কমিশন ৬ মাসের মধ্যে চালু করার লক্ষ্যে চালু হয়েছিল, তা গুটিগুটি পায়ে চার বছর পূর্ণ করতে চলেছে।

আগামীকাল, এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু ঘোষণা করতে পারেন বলে অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, সরকার যেভাবে তাঁদের ‘বঞ্চিত’ করছে বলে মনে করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা, তাতে করে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন পদক্ষেপে কোনো আসার আলো দেখছেন না তাঁরা। আর তাই সরকারি কর্মচারীদের ১৩ টি সংগঠন মিলে ফটিক দে ও দেবাশীষ শীলের নেতৃত্বে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ব্যানারে আজ কলকাতা পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল।

কিন্তু, সেই অবস্থান বিক্ষোভে, একদিকে যেমন বৃষ্টির দাপট ছিল, উল্টো দিকে তেমনই পুলিশের চোখ রাঙানি ও চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। তবুও, এত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিজেদের হকের ডিএ-পেকমিশনের দাবি নিয়ে আন্দোলন থেকে এক পাও সরে আসলেন না যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। কলকাতা পুরসভার সামনে নিজেদের ন্যায্য দাবিতে, বাস্তবটা তুলে ধরে, রাজ্য সরকারকে তীক্ষ্ন আক্রমনের বানে জর্জরিত করে দিলেন ‘হোয়াইট কলার জব’ করা শিক্ষিত সমাজের অন্যতম প্রতিনিধি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা নয়, আজকের পরে রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন তাঁরা। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক দেবাশীষ বলেন, আজকে কলকাতা পুরসভার সামনে আমাদের (যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের) নির্ধারিত বিক্ষোভ অবস্থানে মঞ্চ বাঁধার অনুমতি পাওয়া যায় নি। মাইকও ব্যবহার করতে দেওয়া হয় নি। এমনকি সভা অতি সংক্ষেপে শেষ করার জন্য স্থানীয় থানা থেকে বারবার চাপ সৃষ্টি করা হয়। এক রকম অঘোষিত জরুরি অবস্থার শিকার হলাম আমরা।

দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ত্ব দেওয়া দেবাশীষবাবুর বক্তব্য, এ যাবৎ কোন সরকারী কর্মচারী সংগঠনের বেলায়, এই অগণতান্ত্রিক আচরণ করা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। তার ওপর আজকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ছিল। কিন্তু, তাতেও আমাদের সভা আটকানো যায় নি। শারদোৎসব শেষ হবার পর রাজ্যব্যাপী লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়ার কথা আজকের সভা থেকে ঘোষণা করা হয়। আমাদের যতটা জানা আছে, তাতে ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ আদৌ জমা পড়েছে বলে মনে হচ্ছে না।

দেবাশীষবাবুর আরও বক্তব্য, তাই আগামীকালের ‘এক শ্রেণীর কর্মীদের’ সভায় শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য কোনো ইতিবাচক খবর, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আমরা যে সমস্ত কর্মচারীবন্ধুরা ঐ সভায় যাবেন তাদের কাছে আমাদের একান্ত আবেদন আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পে-কমিশন, ডিএ-র দাবীতে আওয়াজ তুলুন। এই সরকারের আমলে একজন সব্জি-বিক্রেতার মাসিক আয়ের থেকেও কম বেতন পান একজন গ্রূপ-ডি সরকারি কর্মচারী! এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে কি?

https://www.youtube.com/watch?v=-afUM1iqCvM

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!