আমপান নেভাতে পারবে না শিক্ষার আলো! প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচে বড়সড় পদক্ষেপ মমতা সরকারের কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য June 8, 2020 গত মাসে আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জনজীবন। চাষী। মৎস্যজীবী, সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও রেহাই পায়নি এর প্রভাব থেকে। শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত আটটি জেলায় বই-খাতা, স্কুল ইউনিফর্ম, জুতো, স্কুল ব্যাগ ইত্যাদি খুইয়েছে প্রায় 54 লক্ষ ছাত্র ছাত্রী। শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার যেটা নষ্ট হয়েছে তা নতুন করে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর এই কাজে খরচ হতে পারে প্রায় 230 কোটি টাকা বলে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর। এই প্রসঙ্গে অর্থ দপ্তরের কাছে এই সংক্রান্ত ফাইল ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান বহুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ঝড়ের দ্বারা। দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, তালিকায় প্রায় প্রতিটি ক্লাসের পড়ুয়া আছে। ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়াদের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্লাসের বই খাতা ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শীঘ্র এর বন্টন করা শুরু হবে। এ ব্যাপারে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকেও। এদিকে 24 পরগনার সাগর, গোসাবা, ক্যানিং, পাথরপ্রতিমা, সন্দেশখালি সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ও তার আশেপাশের গ্রামের এই ঘূর্ণিঝড়ের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। জেলার ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলোর পুনর্গঠনে সাহায্য করতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে শুরু করে শিল্প সংস্থা ইত্যাদিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে বলেও জানা গেছে। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে চেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। শিক্ষা দপ্তরের বক্তব্য, অনেকে আগ্রহ দেখিয়েছেন, যা একটি ইতিবাচক দিক। আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই আর্থিক সাহায্যের ব্যাপারে তারা দপ্তরকে জানাবে। এছাড়াও, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের ফলে স্কুল ও উচ্চশিক্ষা মিলিয়ে প্রায় 700 কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। মিড ডে মিলের পরিকাঠামো ও স্কুল বাড়ি ভেঙে যাওয়াতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে 600 কোটি টাকার বেশি। এমতাবস্থায় সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রের কাছে শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। তবে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষতির পরিমান বর্ষ বড়সড়। ফলে, সব হিসেবে করতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। আর তাই সবমিলিয়ে আপাতত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মুখে হাসি ফোটাতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই প্রবল ক্ষয়ক্ষতি থেকে বেরিয়ে আসতে কতদিন সময় লাগে এখন সেটাই দেখার! আপনার মতামত জানান -