এবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ সংসদে তুলতে চলেছে তৃণমূল! বাড়ছে জল্পনা কলকাতা জাতীয় রাজ্য November 17, 2019 জাগদীপ ধনকার বাংলার রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে জিয়াগঞ্জের ঘটনা, দুর্গাপুজোর কার্নিভাল থেকে শুরু করে প্রশাসনিক বৈঠক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে শোরগোল তুলে দিয়েছিলেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে সেই রাজ্যপালকে “পদ্মপাল” বলে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আবার কখনও বা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে রাজভবন বনাম নবান্নের মধ্যে দূরত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে এতদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে গোটা তৃণমূল দলের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া এলেও তা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু সম্প্রতি নাম না করে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ এনেছেন তিনি। আর এবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের ব্যাপারটি সংসদে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এদিন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে রাজ্যের রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ করেন তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু তার তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বলাই নয়, অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলোও যাতে এই ব্যাপারে তৃণমূলকে সমর্থন করে, সেই কথাও সুদীপবাবু অন্যান্য দলগুলিকে আবেদনস্বরূপ বলেছেন বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে বাইরে বেরিয়ে এসে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপালের বিষয়টি আমরা সর্বদলীয় বৈঠকে জানিয়েছি। তিনি যেভাবে রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছেন, তা কোনোমতেই কাম্য নয়। সংসদে এর বিরোধিতায় সোচ্চার হবে তৃণমূল।” এদিকে এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তার নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তৃণমূলের এই হেভিওয়েট সাংসদ। তিনি বলেন, “চা-চক্রে আমাকে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, দিদি কেমন আছেন! আমি মুখ্যমন্ত্রীর কুশল সংবাদ দেওয়ার পর বুলবুলে রাজ্য অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানাই।” অন্যদিকে বিদেশ সফরের খতিয়ান পেশ করার ব্যাপারেও এদিন দাবি জানান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সর্বদলীয় বৈঠকে বাংলার রাজ্যপালকে নিয়ে তৃণমূলের তরফে যেভাবে সোচ্চার হওয়ার কথা জানানো হল, তাতে তা বাংলার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা পেতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ভবিষ্যতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যদি এই ব্যাপারে বাংলার তৃণমূল সাংসদরা রাজ্যপালের অতি সক্রিয়তা নিয়ে সরব হন, তাহলে তা পশ্চিমবাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বনাম রাজভবনের সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -