এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > রাজ্যের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনলেন সদ্য পদ হারানো জেলা সভাপতি

রাজ্যের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনলেন সদ্য পদ হারানো জেলা সভাপতি


গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ ছড়ালো এবার বিজেপিতে।সম্প্রতি মালদা জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সঞ্জিত মিশ্রকে।সেই জায়গায় ঘোষণা হয়েছে গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের নাম। এরপর গতকাল জেলা বিজেপির সদর কার্যালয়, শ্যামাপ্রসাদ ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সঞ্জিতবাবু। হুমকি দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে ধরনায় বসারও।শ্যামাপ্রসাদ ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের সংগঠন সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ আনলেন সঞ্জিতবাবু।

এইদিন সাংবাদিকদের সামনে তিনি দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে জানান,দলের জন্য তিনি দেনায় জর্জরিত।অথচ দলের তরফে কোনওরকম সমর্থন তো তিনি পাননি বরং তাঁকে বিব্রত করার চেষ্টা চলেছে অনবরত।সঞ্জিতবাবু বলেন তিনি নিজের টাকায় প্রায় সাড়ে আটশো বিজেপি কর্মীর জামিনের ব্যবস্থা করেছেন। এসব করতে গিয়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ধার করতে হয়েছে তাঁকে।এখন এই অবস্থায় তাঁকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তিনি আদালতেরও দ্বারস্থ হতে পারেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্য কমিটির সম্পাদকের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সঞ্জিতবাবু ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, গত বছর ২০ জুলাই সঞ্জিতবাবুকে দলের মালদা জেলা সভাপতি পদে নিয়োগ করেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।২৩ জুলাই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।গতকাল সেই পদ থেকে তাকে সরানো হয়েছে।দলের সেই সিদ্ধান্তের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করেন অফিস সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ। এই ঘটনার জন্য সঞ্জিত মিশ্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন রাজ্য বিজেপির সংগঠন সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে।তাঁর কথায়, “রাজ্যেরই কিছু নেতা জেলায় জেলায় দলের ভিতর বিরোধী গোষ্ঠী তৈরি করেছে।যারা ইতিমধ্যে নানা আর্থিক দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে।এঁদের শীর্ষে রাজ্যের সংগঠন সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন।” সঞ্জিতবাবু আরো বলেন , ”আমি কারোর ইয়েসম্যান নই। আমাকে সরানোর সেটাই প্রধান কারণ ।”

লোকসভা নির্বাচনে মালদা জেলার দুটি আসনের মধ্যে উত্তর মালদা কেন্দ্রে বিজেপির খোঁজেন মুর্মু জয়লাভ করেন। কিন্তু দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রটিতে তৃণমূল কংগ্রেস জিতে যায়। সঞ্জিত মিশ্র সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দক্ষিণ মালদায় জেতা সম্ভব হয়নি।ওই কেন্দ্রের প্রার্থীও নিজের দায় এড়াতে পারেন না এমনটাই মনে করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপিতে কোনো গণতন্ত্র নেই। তবে সাংবাদিকদের তিনি এই কোথাও জানিয়েছেন যে তিনি বিজেপির এ কর্মী হয়ে থাকতে চান। অন্য কোনো দলে যোগ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!