এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রবল বিপাকে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী! জানুন বিস্তারিত

প্রবল বিপাকে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী! জানুন বিস্তারিত

 

সরকারি মঞ্চে প্রকল্পের সার্বিক সাফল্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কিছুটা হোঁচট খেতে হল রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডেকে। বস্তুত, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্রেতা সুরক্ষা ভবনের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন ওই দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পান্ডে। এই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের সব স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনুদান হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা করে পৌঁছে গেছে বলে দাবি করতে শোনা যায় মন্ত্রীকে। কিন্তু কিছুটা সুরভঙ্গ হয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একজন মহিলার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মন্ত্রীকে।

মন্ত্রীত্ব থেকে অবশ্য আশ্বস্ত করা হয়েছে ওই মহিলাকে। এই বিষয়ে বিভাগীয় মন্ত্রী সাধন পান্ডে বলেন, “আপনার দলের কাছে অনুদান পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী সাধন পান্ডে। নিজের বক্তব্যের মধ্যে বলেন, “পুজোর পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে 500 কোটি টাকা দিলেন। সব স্বনির্ভর দল কে 5000 টাকা করে দেওয়ার জন্য টাকাটা সব দলের ব্যাংক একাউন্টে পৌছে গেছে।”

তবে মন্ত্রী মশাইয়ের এই কথা শেষ হতে না হতেই একজন স্বনির্ভর দলের মহিলা সদস্য উঠে দাবি করেন যে, তাদের কাছে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের অনুদানের পাঁচ হাজার টাকা গিয়ে পৌঁছয়নি। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্যের পরে মহিলার এই অভিযোগ রীতিমতো হতবাক করে দেয় মঞ্চে উপস্থিত মন্ত্রী থেকে শুরু করে আমলা এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদেরকে। এদিন মঞ্চে উপস্থিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রতিমা দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ প্রত্যেকেই। অভিযোগকারিণী মহিলার কথা শুনে একে অপরের দিকে তাকাতে থাকেন।

কিন্তু মহিলার অভিযোগের উত্তরে এদিনের সভা থেকে মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে অতিরিক্ত জেলাশাসককে দেখিয়ে বলেন, “আপনারা ওকে চিনেন তো! জানেন, উনি কোথায় বসেন! ওর কাছে যাবেন!” মন্ত্রীর পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ স্বনির্ভর দলের ওই মহিলাকে বলেন, “তাদের দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বই নিয়ে আগামী সোমবার জেলা পরিষদে আসতে।” তবে এরুপ প্রশ্নের মুখে পড়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় আধিকারিক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি দেরকে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা দেবী বলেন, “আমার মনে হয় আমাদের সরকার যে পরিষেবা দিচ্ছে, তাতে কোনো প্রশ্ন কিংবা জিজ্ঞাসা থাকার কথা নয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের মহিলাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন একজন স্বনির্ভর দলের মহিলা শেফালি রানা। তিনি বলেন, “আমরা নিজে থেকে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে যাইনি। মঞ্চে উনি বলেছিলেন, সব স্বনির্ভর দলের একাউন্টে 5,000 টাকা করে চলে গিয়েছে। কিন্তু আমরা তো টাকাটা পাইনি। মন্ত্রীকে সেটাই জানিয়েছি।” আবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একজন প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলার নথিভূক্ত হওয়া সব স্বনির্ভর দল যাদের ব্যাংক একাউন্ট আছে এবং নিজেদের সদস্যের মধ্যে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তাদেরই এই আর্থিক অনুদান পাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে ঠিক কি হয়েছে, সেটা দেখা হচ্ছে।” তবে স্বনির্ভর দল প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে এসে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় বিভাগীয় মন্ত্রী সাধন পান্ডেকে।

তিনি বলেন, “সারা রাজ্যে 10 লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরে মাত্র 40000 গোষ্ঠী। 80 হাজার হলে খুশি হতাম।” কিছুটা আশ্চর্যজনকভাবে এদিনের সরকারি সভার মঞ্চ থেকে দলীয় প্রচার সারতে দেখা যায় মন্ত্রী মশাইকে। নিজের বক্তব্যে সাধন পান্ডে বলেন, “জেলার সব বিধানসভাতেই যাতে আমরা জিততে পারি। তার জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনাকে এখানে রূপায়ণ করতে হবে।”

স্বাভাবিকভাবেই এদিন সভাস্থলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলার প্রশ্নের ফলে প্রকল্পের সফলতা নিয়ে কিঞ্চিৎ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেখানে মন্ত্রী বলেন, “স্বনির্ভর দল অর্থনৈতিক সাহায্য পেয়েছে।” সেখানে যখন গোষ্ঠীর মহিলাদের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে, একটি দল এখনও পর্যন্ত সেই অর্থনৈতিক সাহায্য পায়নি, তখন 100% সম্পূর্ণ তার দাবি কিছুটা প্রশ্নের মুখে পড়লেই মত রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি সরকারি মঞ্চ থেকে দলীয় প্রচারও যথেষ্ট জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!