এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতারা জানেনই না তাদের দলের কার্যালয় বিক্রি হয়ে গিয়েছে, নয়া অস্বস্তি এই দলের

রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতারা জানেনই না তাদের দলের কার্যালয় বিক্রি হয়ে গিয়েছে, নয়া অস্বস্তি এই দলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –রাজ্য স্তরের নেতারা জানেনই না, দলের কার্যালয় বিক্রি হয়ে গেছে। আর এই ঘটনায় যিনি অভিযুক্ত, তিনি দলেরই বিধায়ক। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা চাউর হতেই আপন ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বামফ্রন্টের শরিকদল আরএসপির অন্দরমহলে। বস্তুত, মালদহ জেলার চাচলের কাশীপাড়া এলাকায় আরএসপির একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। কিন্তু সেই কার্যালয়টি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মালতিপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সির বিরুদ্ধে।

যেখানে এই ঘটনা রাজ্য নেতাদের নজরে আসতে না আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়। জানা গেছে, মালতীপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক অবৈধভাবে তার স্ত্রীর কাছে এই পার্টি অফিসটি বিক্রি করে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই দলের প্রাক্তন বিধায়ক নিজেদের দলীয় কার্যালয় বিক্রি করে দেওয়ায় এখন ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে আরএসপি। তবে যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই আব্দুর রহিম বক্সী অবশ্য এখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

তবে কলকাতায় বসে থাকা রাজ্য নেতারা দলের কার্যালয় বিক্রি হয়ে গেছে এই খবর শুনতে না শুনতে রীতিমত তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে চলেছে আরএসপির রাজ্য নেতৃত্ব। এদিকে যেহেতু আরএসপির প্রাক্তন বিধায়ক এখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, কাজেই এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে আরএসপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলত্যাগ করার পরে দলীয় কার্যালয় নিজে জালিয়াতি করেছেন। প্রাক্তন বিধায়ক পার্টি অফিস নিজের স্ত্রীর কাছে বিক্রি করেছেন। এটা ঘোরতর অন্যায়। সত্যিই তো তাই! কেন তিনি এভাবে দলীয় কার্যালয় বিক্রি করে দিয়েছেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদের এই প্রসঙ্গে আরএসপি সর্বানন্দ পান্ডে বলেন, “আরএসপির নামে রেজিস্ট্রি করা পার্টি অফিস অবৈধভাবে কেউ বিক্রি করতে পারেন না। যিনি দলের সম্পাদকের পদে থাকেন, তখন পার্টি অফিসের মালিকানা তার অধীন থাকে। সেই নেতা দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে সেই অফিসের উপর তার কোনো অধিকার থাকে না। রহিম বক্সী অবৈধভাবে মিটিং থেকে তার স্ত্রীর নামে ওই পার্টি অফিসটি নামে দলিল বানিয়েছেন। এটা বেআইনি কাজ। আমরা থানায় এফআইআর দায়ের করেছি।”

যদিও বা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন আরএসপির প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আব্দুর রহিম বক্সী। এদিন তিনি বলেন, “জমিটি আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। পৈতৃকসূত্রে তা আমি পেয়েছি। এই ধরনের অভিযোগ তুলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে কলুষিত করার জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি যা করেছি, তা নিয়মমাফিক করেছি। ওই জমি এবং পার্টি অফিস আমার নামে ছিল। বেআইনি কাজ প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”

বিশ্লেষকদের মতে, সত্যিই এই ঘটনা অত্যন্ত নজিরবিহীন। দলীয় অফিস যেভাবে বিক্রি করে নিজের স্ত্রীর নামে করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে, তাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এখন যেভাবে আরএসপির পক্ষ থেকে সেই প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল, তাতে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!