এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত চরমে, চন্দ্রিমার “গুপি গায়েন” পাল্টা রাজ্যপাল

রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত চরমে, চন্দ্রিমার “গুপি গায়েন” পাল্টা রাজ্যপাল


 

রাজ্যের রাজ্যপালের আসনে বসার পর থেকেই সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব তৈরি হয়েছে জাগদীপ ধনকারের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, জিয়াগঞ্জ কান্ড, দুর্গাপুজোর কার্নিভাল সহ নানা ইস্যু রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সঙ্ঘাতকে বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বিভিন্ন ঘটনাতেই রাজ্যপালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মন্তব্য করে তার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। তবে মাঝে রাজ্য প্রথম রাজ্যপালের দ্বৈরথ কিছুটা হলেও কমেছিল বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন মহলকে।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের সেই তরজা অতীতের সমস্ত ঘটনাকেই ম্লান করে দিল। প্রসঙ্গত, গত বুধবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলে একটি কলেজের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। অভিযোগ, সেই সময়ে স্থানীয় কিছু লোক তাকে কালোপতাকা দেখায়। আর এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে। যার ফলে রাজ্যের প্রশাসনকে দায়ী করে রীতিমতো সরব হন রাজ্যপাল। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই এবার রাজ্যের হয়ে ব্যাটিং করে রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

জানা যায়, যখন তাকে কালোপতাকা দেখানো নিয়ে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি করছেন রাজ্যপাল, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে পাল্টা দাবি করে বসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যপাল অবান্তর দোষারোপ করছেন। স্থানীয় কিছু লোক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। রাজ্যপালের কাছে যাতে বিক্ষোভকারীরা না পৌঁছতে পারে, পুলিশের সেদিকে নজর ছিল।

কিন্তু তা সত্বেও উনি প্রশাসনকে কেন দায়ী করছেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না।” তবে শুধু কালো পতাকা দেখানো ইস্যুতেই নয়, এদিন হেলিকপ্টার বিতর্ক ইস্যুতেও রাজ্যপালকে জবাব দিয়েছেন তৃনমূলের মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার পেলে তিনি কেন হেলিকপ্টার পাবেন না! এই ব্যাপারে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যপাল কি সত্যজিৎ রায়ের ছবির গুপী গায়েন, বাঘা বায়েনের মত ইচ্ছে করলেই যেখানে খুশি দিতে পারেন! রাজ্যের প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার নেন।” এদিকে রাজ্য যদি তাকে হেলিকপ্টার না দেয়, তাহলে তিনি সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে হেটেই নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন জগদীপ ধনকার।

এদিন সেই প্রশ্নের পাল্টা উত্তর দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “তাহলে দৈনিক হেটেই চলাফেরা করুন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী দৈনিক উনিশ থেকে কুড়ি কিলোমিটার হাটেন। রাজ্যপাল যদি হাটেন, তাহলে ওনার শরীর ভালো থাকবে।” আর সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের প্রতিটা কথার জবাব এইভাবে পাল্টা জবাবে দেওয়ায় এখন রাজনৈতিক মহলে প্রবল জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।

তাহলে কি সরকার বনাম রাজভবনের এই তরজা অব্যাহত থাকবে! আর এর ফলে কি রাজ্যের গরিমা নষ্ট হবে না! ভুল বার্তা কি যাবে না পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে! এখন এই সব প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!