এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের তৃণমূল সরকার ভেঙে দেওয়ার জন্য অমিত শাহকে বলেছিলেন খোদ মমতা, সামনে এল বড় তথ্য

রাজ্যের তৃণমূল সরকার ভেঙে দেওয়ার জন্য অমিত শাহকে বলেছিলেন খোদ মমতা, সামনে এল বড় তথ্য


রাজ্যের তৃণমূল সরকার ভেঙে দেওয়ার জন্য অমিত শাহকে বলেছিলেন নিজেই জানালেন এই কথা। নিজের ক্ষোভ আর আটকে রাখতে পারলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এবার সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তিনি। আর তারই মন্তব্য করোনা ভাইরাস থেকে ভয়াবহ দূর্যোগ, সমস্ত কিছুকে কার্যত ম্লান করে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু কি এমন মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান?

বস্তুত, এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকার ভাঙ্গার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে শাসক দলের নেতারা অভিযোগ করতেন। আর এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নাকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তার সরকার ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন বলে জানিয়ে দিলেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে নিয়ে এখন রীতিমত তোলপাড় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

বলা বাহুল্য, বর্তমানে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের এরাজ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। একের পর এক ট্রেন চালু করে শ্রমিকদের রাজ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রেল। তবে প্রচুর শ্রমিক একসাথে রাজ্যে প্রবেশ করায় সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। আর দিনকে দিন যদি সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তাহলে কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে প্রবল চিন্তায় রয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিনের সাংবাদিক বৈঠক শেষে কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে এভাবে চলতে থাকলে কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ধীরে ধীরে শ্রমিকদের পাঠানোর ব্যাপারেও সওয়াল করতে শোনা যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে 11 টি ট্রেন আসছে। কাল 17 টি ট্রেন আসছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, করোনা যেন না বাড়ে। কেউ কেউ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। রাজনীতি করবেন না। রাজ্যে প্রায় 5 লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক চলে এসেছে। এত লোকের পরীক্ষা কিভাবে করব! সংক্রমনের কোনো দায়িত্ব নেই! রেলের কোনো দায়িত্ব নেই? প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, সংক্রমণ ঠেকাতে হস্তক্ষেপ চাই।”

আর এরপরই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কি আবেদন করেছিলেন, তা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অমিত শাহকে বলেছিলাম এরকম হলে সরকার ভেঙে দিন। উনি তখন বলেন, নির্বাচিত সরকার কি করে ভাঙব!” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্য এখন রীতিমত গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

একাংশ বলছেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনও এমন মন্তব্য করতে শোনা যায়নি, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনও পরাজিত হতে দেখা যায়নি কোনো শক্তির কাছে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন করলেন কেন! তাহলে কি তিনি পরিস্থিতির কাছে মাথানত করতে শুরু করেছেন? এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য ঘিরে এখন রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!