রাজ্য সরকারের চাপ বাড়িয়ে সমকাজে সমবেতনের দাবিতে নবান্ন ঘেরাও অভিযান পার্শ্বশিক্ষকদের রাজ্য November 17, 2018 দীর্ঘদিন ধরেই পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে এই রাজ্য। সম কাজে সম বেতনের দাবিতে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, আন্দোলনে সামিল হয়েছেন রাজ্যের প্রায় 43 হাজার পার্শ্বশিক্ষক। তাদের দাবি, স্থায়ী শিক্ষকদের মতো কাজ করলেও তাদের বেতনের হার অনেকটাই কম। যার জেরে সংসার চালাতে গিয়ে কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থা তাদের। এদিকে তাদের এই আন্দোলনে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য সরকার। আর তাই নিজেদের অস্বস্তি ঢাকতে চলতি বছরের 9 মার্চ নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে সেই পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যায়, প্রাথমিক স্কুলের পার্শ্বশিক্ষকদের 10 হাজার টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিক পর্যায়ে পার্শ্বশিক্ষকদের 13 হাজার টাকা ঘোষণার পাশাপাশি যোগ্যতাসম্পন্ন পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ী পদে নিয়োগ করার কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নয়, পরবর্তীতে চলতি বছরের জুলাই মাসে একই কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর এহেন ঘোষণার পরও এখনও পর্যন্ত কাজের কাজ তো কিছু হয়ইনি উল্টে এখনো সেই জীবন যন্ত্রণায় উপভোগ করতে হচ্ছে পার্শ্বশিক্ষকদের। ইতিমধ্যেই ফের রাজ্যজুড়ে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলেছেন তারা। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, গত সেপ্টেম্বরে এই সমকাজে সমবেতন না হওয়ায় আত্মহত্যা করতে হয়েছে আলিপুরদুয়ারের পার্শ্বশিক্ষিকা সমিতা লাকরাকে। আর এরপর থেকেই আরও প্রতিবাদে গর্জে ওঠে সেই পার্শ্বশিক্ষকেরা। এবার নিজেদের দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের সদর দপ্তর নবান্ন ঘেরাও অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। সূত্রের খবর, আগামী 20 নভেম্বর মঙ্গলবার রাজ্যের প্রায় 43 হাজার পার্শ্বশিক্ষক এই নবান্ন ঘেরাও অভিযানে সামিল হবেন। এমনকি মঙ্গলবার এই অভিযানের আগের দিন থালা বাজিয়ে শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত একটি মিছিল করারও কথা রয়েছে তাদের। কিন্তু মঙ্গলবার এই বিক্ষোভ অভিযান ও নবান্ন ঘেরাওয়ে যদি রাস্তায় তাদের আটকে দেয় পুলিশ তাহলে তারা কি করবে? পার্শ্বশিক্ষকদের মতে, “এবার নাহলে নেভার।” যদি পুলিশ কোনোরূপ বাধা দেয় তাহলে যেখানে পথ আটকাবে সেখানেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে। তবে শুধু সমকাজে সম বেতনের দাবিই নয়, সিসিএল প্রদান, নিয়োগের দিন থেকে ইপিএফ কার্যকর করা, কর্মরত অবস্থায় মৃত পার্শ্বশিক্ষকের পোষ্যকে চাকরি, অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান সহ আরও একগুচ্ছ দাবিও থাকছে তাদের এই নবান্ন ঘেরাও অভিযানে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সব মিলিয়ে আগামী 20 নভেম্বর পার্শ্বশিক্ষকদের এই নবান্ন অভিযানে যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হবে সেই ব্যাপারে আশঙ্কায় রয়েছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও। তবে ঠিক কি ভাবে তারা এই বিক্ষোভ আন্দোলনকে প্রশমন করবে এখন সেই নিয়েই প্রবল ভাবনাচিন্তায় মগ্ন রাজ্য সরকারের সদর দপ্তরের কর্তারা। আপনার মতামত জানান -