এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে বিস্ফোরক মন্তব্য মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর

দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে বিস্ফোরক মন্তব্য মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর


বাবা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বেশ কিছু হল। তারপর থেকেই বাবাকে একরকম এড়িয়েই চলেন তিনি। হ্যাঁ,কথা হচ্ছে বর্তমানের বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং তাঁর পুত্র তথা বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের। সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্বদের প্রতি অভিযোগের স্বর চড়া করে তিনি বলেন,”শিব বিষ পান করে নীলকন্ঠ হয়ে ছিলেন, আমাকেও প্রতিনিয়ত বিষ পান করতে হচ্ছে। অথচ আমি কোন অন্যায় করিনি। আমার বাবা অন্যায় করতে পারেন, তার জন্য তার বিচার হতে পারে, জেল হতে পারে, ফাঁসি হতে পারে। সেটার জন্য আইন আছে আমি আইনের সঙ্গে থাকবো।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন কাঁচড়াপাড়া পুরসভার একটি হাসপাতালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেই বক্তব্যে এভাবে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুকুল পুত্র। জানালেন তিনি এলাকার বিধায়ক অথচ বড় দুর্ভাগ্যের কথা, এই অঞ্চলেরই পুরসভার চেয়ারম্যান পিতৃতুল্য সুদামা রায় তাঁর ফোন নম্বর নিতে ভুলে গেছেন। কাঁচরাপাড়া হালিশহর পুরসভার কোনো অনুষ্ঠানেই তাকে ডাকা হয় না। অর্থাৎ তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতার অভি্যোগ, উত্তর ২৪ পরগনার কোনো অনুষ্ঠানে ডাকা তো দূরের কথা,বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কোনো সরকারি অনুষ্ঠানেও তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। অথচ,এই বিধানসভা কেন্দ্রেরই একের পর এক জনসভায় নেতৃত্বের আসনে দেখা গেছে ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংকে।

হাসপাতাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এদিন তৃণমূল বিধায়ককে দেখা গেল ঘাসফুলশিবিরের আয়োজিত এলাকার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। সেখানেও শাসকদলের প্রতি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ছিলেন মুকুলপুত্র। এদিন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার নজির তুলে সভায় উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানান যে গুগল সার্চ করে দেখে নিতে কোনো রাজনীতিবিদ তাঁর মতো শিক্ষাগত যোগ্যতা রাখেন কিনা!

এছাড়া তিনি জানান যে তিনি বিটেক এবং এমবিএ-ও করেছেন। তবে এমনটা মনে করা ভুল যে কিছু করতে পারেননি বলেই রাজনীতিতে এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধেই রাজনীতিতে জুড়েছিলেন তিনি। এটাও জানান এদিন। এছাড়া আরো বলেন যে, যদি প্রয়োজন মনে হয়,রাজনীতি ছেড়েও দিতে পারেন ভবিষ্যতে। তাঁর শুধু একটাই কাম্য, “বীজপুরের মাটি উন্নয়নের মাটি হোক।” উল্লেখ্য,শাসকদলের বিরুদ্ধে শাসকদলেরই এক যুবনেতার এভাবে জনসমক্ষে ক্ষোভ উগরে দেওয়াকে দলীয় ফাটল হিসাবেই ধরে নিচ্ছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল। অবিলম্বে এই ক্ষত না সারালে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তিতে ধ্বস নামবে,এই আশঙ্কাতেই আপাতত উদ্বেগে রয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!