প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল নন্দীগ্রাম ও ব্যারাকপুর থেকে জোড়া রোডশো করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম ও টিটাগড়ের সভা থেকে তিনি প্রবল কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। নন্দীগ্রামের সভায় তিনি জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূলের ভাওতাবাজি মানুষ এখন ধরে ফেলেছেন, এ কারণেই রাজনৈতিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন তৃণমূলের নেতারা। তৃণমূলের নেতারা রাজনৈতিক ভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন।

পূর্বদলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম থেকে আরো জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূলের কথা ও কাজের কোন মূল্য নেই। সাড়ে ৯ বছর পর মানুষের কথা মনে পড়েছে তাদের। এ কারণেই তারা যমের দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সরকার এসব করছে। তিনি দাবি করেছিলেন যে, এ সমস্ত ভাওতাবাজি করে আর কোনো লাভ হবে না। রাজ্যের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন পরিবর্তনের পরিবর্তন করার।

অন্যদিকে, সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন যে, যে দলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করছেন শুভেন্দু অধিকারী, সেই দলেরই দু’জন সদস্য আছেন শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে। বিজেপিতে যোগদান করে সেই বাড়িতে রাত কাটাতে কি লজ্জা করছে না শুভেন্দু অধিকারীর? তিনি কটাক্ষ করেছিলেন, নিজের লোককেই যে ভাঙাতে পারেন না, নিজের বাড়িতেই পদ্ম ফোঁটাতে পারেন না, তিনি গোটা বাংলায় পদ্ম ফোঁটাবেন?

গতকাল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের জবাবে টিটাগড়ের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, ” সবে তো পদ্মফুলের কুঁড়িটা ফুটেছে ৷ এখনও বাসন্তী পুজো হয়নি রাম নবমী হয়নি ৷ সবে তো পদ্ম ফুলের কুঁড়ি ফুটেছে ৷ এখনও আরও পদ্ম ফোটা বাকি ৷ আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে ৷ ” এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর ঘরেও ঢুকবেন তিনি। সেখানেও তিনি পদ্ম ফোঁটাবেন।

শাসক দল তৃণমূল সম্পর্কে তাঁর একাধিক কটাক্ষের পর শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন দমদমের বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানালেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর নীচতা, অসভ্যতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। যে দলে এতদিন তিনি থেকেছেন, যে দল থেকে দুধ, ঘি, সর খেয়েছেন, আজ সেই দলের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করছেন তিনি।

তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি ক্ষমতা থাকে, তবে পদ্মফুল ফুঁটিয়ে দেখান তিনি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি তাঁর ক্ষমতা থাকে, তবে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে পদ্মফুল ফুঁটিয়ে দেখান তিনি। তিনি জানালেন যে, তাঁরা কাঁথিতে তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে জোড়াফুল ফুঁটিয়ে এসেছেন। আবার দরকার হলে তাঁর বাড়ির ভেতরে গিয়ে জোড়াফুল ফুঁটিয়ে আসবেন তাঁরা।