এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জোড়ালো পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের, জল্পনা তুঙ্গে

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জোড়ালো পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান তৎকালীন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এরপর একে একে তাঁর সাথে তাঁর ভাই সৌমেন্দু ও বাবা শিশির অধিকারীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান। তৃণমূল শিবিরের যাওয়ার পরেই তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রচার শুরু করেন।

এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক হিসেবে তিনি জয় পেলেও রাজ্যের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। অন্যদিকে শুভেন্দু অবশ্য রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা মনোনীত হয়েছেন। কিন্তু নতুন সরকার আসার পর থেকেই একের পর এক অস্বস্তি ঘিরে ধরেছে তাঁকে। আর এবার তাঁকে আরও চাপে ফেলল রাজ্য সরকার।

সম্প্রতি ত্রিপল চুরি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দু অধিকারী এবং তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ইয়াস বিপর্যয়ের পর দেখা গিয়েছে, একের পর এক বাঁধ ভেঙে যেতে। তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন তদন্তের। আর এবার কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর শান্তিকুঞ্জে যে 32 জন পুলিশ কর্মী এতদিন নিরাপত্তা দিতেন, তাঁদের প্রত্যেককে বদলি করে দেওয়া হল।

32 জনের একসাথে বদলি নিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে একটা চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, একসঙ্গে এতজন পুলিশকর্মীকে বদলি করার পেছনে আসল কারণ কি? তাহলে কি কোনভাবে শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে?

কাঁথি শহরের শান্তিকুঞ্জ নামের বাড়িটি এই মুহূর্তে জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার 32 জন রাজ্য পুলিশের কর্মীকে বদলি করে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় ভাগ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বদলে সমসংখ্যক পুলিশকর্মী আসছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, এবার রাজ্য সরকার কি অধিকারী পরিবারের জন্য আর কোনো নিরাপত্তা দেবে? প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, যে 32 জন পুলিশ কর্মী দীর্ঘদিন ধরে শান্তিকুঞ্জের নিরাপত্তায় ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো ছিল। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গেলেও সম্পর্কে কোনদিনও ভাঙন ধরেনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এবার সেই পুলিশ কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে নবান্ন কি তাহলে অধিকারী পরিবারকে দিল কড়া বার্তা? পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, অধিকারী পরিবারের নিরাপত্তা সরিয়ে নিয়ে রাজ্য সরকার অন্য পরিকল্পনা করতে পারে। প্রসঙ্গত কাঁথি পুরসভায় ত্রিপল চুরির ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীর নাম জড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা থেকে নিষ্কৃতি পেতে শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা খারিজের আপিল জানালেও তা গ্রহণ করা হয়নি। আর সেখান থেকেই অনেকে মনে করছেন, এবার হয়তো অধিকারী বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারে পুলিশ।

পাশাপাশি শুভেন্দু বা সৌমেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে গুঞ্জন। তবে এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারী যেহেতু বিরোধী দলনেতা তাই তার নিরাপত্তা নিয়ে তিনি কিছুটা প্রটোকলের সুবিধা পাবেন। কিন্তু সৌমেন্দু অধিকারীর ভাগ্যে সেরকম কোন সুবিধা নেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই অধিকারী পরিবারের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া এই মুহূর্তে রাজনীতিতে অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এ প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত অধিকারী পরিবারের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা যে আগামী দিনে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরো বাড়িয়ে তুলতে চলেছে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই রাজনীতির কারবারীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!