এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের গ্রেপ্তারে সরব গেরুয়া শিবির, উঠে এলো প্রতিহিংসার অভিযোগ

শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের গ্রেপ্তারে সরব গেরুয়া শিবির, উঠে এলো প্রতিহিংসার অভিযোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরাকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আদালতে আনার পর পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে রাখাল বেরাকে, চলছে পুলিশের জেরা। তাঁকে জেরা করে শুভেন্দু অধিকারীর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে পুলিশ। এবার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব হলো গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, রাখাল বেরা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই তাঁকে এভাবে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা হলেন রাখাল বেরা। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। দীঘায় হোটেল ছাড়াও একাধিক ব্যবসা রয়েছে তাঁর। আবার, কন্টাই কোঅপারেটিভ ব্যাংক এর ডিরেক্টর তিনি, একসময় শুভেন্দু অধিকারীর পিএ হিসেবেও তিনি কাজ করেছিলেন, কলকাতাতেও তাঁর ব্যবসা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে চাকরি দেবার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি।

উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের এক বাসিন্দা সুজিত দে তাঁর নামে অভিযোগ করেছেন যে, তিনি ও আরও কিছু ব্যক্তি সেচ দপ্তরে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও চাকরি দেয়া হয়নি। সেচ দপ্তরের প্রাক্তন কর্মী চঞ্চল নন্দীর নামেও এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে, তিনিও পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তবে এখনও পুলিশ তার সন্ধান পায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন রাখাল বেরা। তাঁকে জেরা করে শুভেন্দু অধিকারীর কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবী কল্লোল দাস জানিয়েছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলেই তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে, এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, ফাঁসানোর কোন ব্যাপার নয়। কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এমন ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ ওঠার কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার হঠাৎ গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। এ প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, নিজেদের মুখ লুকাতে এসব করছে তৃণমূল। দুয়ারে জল তাই দুয়ারে যেতে পারছে না। মুখ লুকাতে কিছু বলা প্রয়োজন। তাই এসব কথা বলা হচ্ছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তদন্ত করে দেখা হোক। কয়েক মাসের জন্য তিনি এসেছিলেন সেচ মন্ত্রী হয়ে। তার পরে লকডাউন জারি করা হয়।

তিনি কোন ফাইলে সই করেননি। তিনি অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কোন মন্ত্রীকে কাজ করতে দেননি। এদিকে, কাঁথি পুরসভার গুদামে রাখা ত্রাণ সামগ্রী লুণ্ঠনে মদত দেয়ার অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!