প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি তৃণমূলে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে নানা সমস্যার কথা সামনে আসতে দেখা গিয়েছিল। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর দলীয় কার্যাবলী তে অংশগ্রহণ না করা, তাঁর নামে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো, সেই সঙ্গে সেই সমস্ত পোস্টারে দলীয় কোনো চিহ্ন বা মুখ্যমন্ত্রীর কোন ছবি না থাকায় তাঁর দল ছাড়ার জল্পনা প্রবল হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।

এমন পরিস্থিতিতে দলের একাংশের মাধ্যমে দলের মধ্যে সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে বলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে এরই মধ্যে সম্প্রতি নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সভাতে মালদহ জেলা পরিষদের সভাপতি সহ বেশ কয়েকজনের উপস্থিত থাকা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আবারো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। বস্তুত, মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলেই পরিচিত।

আর তাই নন্দীগ্রামে যখন শুভেন্দু অধিকারী সমাবেশ করছিলেন, সেদিন মালদহ জেলা পরিষদের প্রায় ১০ জন সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলেই অভিযোগ শোনা গেছে। এক্ষেত্রে দলের কিছু মানুষের অভিযোগ, দলকে না জানিয়েই তাঁরা সেই সভায় গিয়েছিলেন। আর সেদিনের পর থেকে তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এমনকি মালদহ জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কর্মী সভায় তাঁদের দেখা পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল মালদহ জেলার দলীয় কর্মীদের।

অন্যদিকে, মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডলের কথায়, “তাঁদের নামে ভুল বার্তা রটানো হচ্ছে। তাঁরা মালদহতেই রয়েছেন।”  বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের এই কোন্দলকে হেলায় হারাতে রাজি নন বিজেপি। আর তাই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির দাবি করেছে, বিহার ভোটের পরে অনেক তৃনমূল সদস্যই তাদের দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

আর সেই সঙ্গে তাঁদের আরও বক্তব্য যে, যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে, ততই এই ঘটনা আরো দেখা যাবে। যদিও এই বিতর্ককে অস্বীকার করেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। এই ঘটনার পর সোশ্যাল সাইটে নিজের ভিডিও বার্তা পোষ্ট করে তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোথাও যাননি। তিনি মালদহতেই নিজের বাড়িতে ছিলেন। বস্তুত কিছু মানুষ অন্যদেরকে ভুল বোঝাচ্ছে বলেই দাবি করেছেন তিনি।