এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের ফ্লেক্স থেকে শুভেন্দুর ছবি ছেঁড়ায় প্রতিবাদে মহামিছিল অনুগামীদের! মুখে কুলুপ শাসকদলে

তৃণমূলের ফ্লেক্স থেকে শুভেন্দুর ছবি ছেঁড়ায় প্রতিবাদে মহামিছিল অনুগামীদের! মুখে কুলুপ শাসকদলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছে বলে এমনিতেই গোটা রাজ্যজুড়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখনও লিখিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার মত কোনো ঘোষণা করেননি শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এমত পরিস্থিতিতে নারায়নগড় ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে শারদ শুভেচ্ছায় সেই শুভেন্দু অধিকারীর ছবি লাগানো হলেও, তা ছিড়ে দেওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। যেখানে শুভেন্দুবাবুর ছবি ছেড়ার প্রতিবাদ করে পথে নামল তার অনুগামীরা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ছবি দেওয়া গেঞ্জি পড়ে এবং বুকে তার ছবি নিয়ে মৌন মিছিল করা হয়। বলা বাহুল্য, তৃণমূলে সাংগঠনিক গুরুত্ব না পাওয়ার পরই শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে বলে দাবি করে একাংশ। যেখানে দল কিংবা সরকারের কোনো কর্মসূচিতে উপস্থিত না হয়ে দলহীন নানা কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে দেখা যায় রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। শুধু তাই নয়, তার নানা মন্তব্য জল্পনা সৃষ্টি করে গোটা বাংলা জুড়ে।

অনেকেই দাবি করতে শুরু করেন, দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে এবার পৃথক মঞ্চ গঠন করতে চলেছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে “দাদার অনুগামী” বলে কিছু পোস্টার টাঙানো হয়। তবে এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বা কোনো কথা ঘোষণা করেননি। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি এখনও তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই পরিস্থিতিতে শারদ শুভেচ্ছা জানাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে তার ফ্লেক্স লাগানো হলেও যেভাবে তা ছেড়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তার অনুগামীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ষষ্ঠীর দিন বেলদায় শারদ শুভেচ্ছা জানাতে ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে একটি পোস্টার টাঙানো হয়েছিল। সেখানে তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-নেত্রীর পাশাপাশি দুদিকে শুভেন্দু অধিকারীর নানা ছবি লাগানো ছিল। তবে বাকি ফ্লেক্স অক্ষত থাকলেও, দেখা যায় শুভেন্দুবাবুর ছবিগুলো ছেঁড়া অবস্থায় রয়েছে।

আর তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পথে নামেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা। যেখানে শুভেন্দুবাবুর ছবি নিয়ে বেলদা কালী মন্দির থেকে কেশিয়াড়ি গ্রামীণ মোড় পর্যন্ত মৌন পদযাত্রা করা হয়। অনেকেরই প্রশ্ন, এখনও পর্যন্ত দলত্যাগ করেননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে শারদ শুভেচ্ছার অঙ্গ হিসেবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে তার ছবি দিয়ে পোস্টার লাগানো হলেও, তা ছেড়া হল কেন? তাহলে কি এর পেছনে দলের কারও চক্রান্ত রয়েছে?

এদিন এই প্রসঙ্গে দাদার অনুগামী শপথকুমার চক্রবর্তী বলেন, “রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা জননেতা শুভেন্দু অধিকারীর ফ্লেক্স ছেড়েছে। তাদের ধিক্কার জানাতে এই কর্মসূচি। যারা শুভেন্দু অধিকারীর মত জননেতাকে আটকাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ।” তবে একাংশ আবার এই ব্যাপারে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছেন। তবে এই ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির নারায়ণগড় মধ্য মন্ডলের সভাপতি শুভাশিস মহাপাত্র বলেন, “পুলিশের বাধায় মাঝপথ থেকে ফিরে যাওয়ার কারণ নিজেদের দ্বন্দ্বকে চাপা দেওয়া। প্রকারান্তরে যে এই ঘটনায় বিজেপির কেউ যুক্ত নয়, ওরা সেই কথা স্বীকার করে নিলেন। ওদের নিজেদের দ্বন্দ্বের ফলে এই ফ্লেক্স ছেড়াছেড়ি হয়েছে।” তবে যে যাই বলুক না কেন, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই যেভাবে তার ছবি ছিড়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে যে ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে এলাকা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটালেন এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি কতটা উত্তপ্ত হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!