এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অনুগামীদের হদিশ পেতে জেলা বৈঠকে মৌসম, রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে

শুভেন্দু অনুগামীদের হদিশ পেতে জেলা বৈঠকে মৌসম, রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার জল্পনা শুরু হওয়া মাত্রই রাজ্যজুড়ে শুভেন্দুর এক ঝাঁক অনুগামী দেখা গিয়েছিল। যাদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে তৃণমূল ছেড়েছেন। কিন্তু এখনো এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা শুভেন্দু অনুগামী কিন্তু তৃণমূল শিবিরেও রয়েছেন। আর তাদেরকেই ছেঁটে ফেলতে তৃণমূল বদ্ধপরিকর। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূর। শুভেন্দু অধিকারী মালদা জেলার পর্যবেক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আর তাই সেখানকার নেতাদের সঙ্গে শুভেন্দুর সখ্যতা হওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেই সখ্যতা দলে কটটা ভাঙন ধরাচ্ছে তা এবার বিচার্য বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের সাথে সাথেই এই জেলাতেও শুভেন্দুর বহু অনুগামীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেই অনুগামীদের খোঁজ পেতেই মৌসম বেনজির নূর মালদা জেলার তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন। অনেকেই কিন্তু এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে যারা ছিলেন তাঁদের অনেকেই যে ভবিষ্যতে ভোল বদল করতে পারে তারও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, মৌসম বেনজির নূর এর লক্ষ্য ছিল মালদা জেলা তৃণমূল কর্মীদের মনের কথা জানা। তা অবশ্য তিনি কতটা জানতে পেরেছেন, তা নিয়ে এখনই বিশেষ কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে তৃণমূল শিবিরের সংগঠনে যে ভালো মতনই চিড় ধরেছে, তা কিন্তু এই বৈঠকে স্পষ্ট হয়ে উঠল।

সূত্রের খবর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পর মৌসম বেনজির নূর জানিয়েছেন, মালদা জেলার তৃণমূলের সবাই কিন্তু এখনও একতা বজায় রাখছেন। কিন্তু এদিন জেলা তৃণমূল বৈঠকে সম্পূর্ণ অন্য ছবি দেখা গেল। বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল নেত্রী সাবিত্রী মিত্র বেরিয়ে যান এবং স্পষ্ট ভাষায় জানান, যারা যাবার তাঁরা যাবেই। শুভেন্দু অনুগামীদের আটকে রাখার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন বৈঠকে, তৃণমূলে থেকেও যারা অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কিংবা শুভেন্দু অনুগামী হয়ে কাজ করছে তাঁদেরকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে রিপোর্ট করার কাজ চলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে উল্লেখযোগ্যভাবে এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, জেলা কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার। পাশাপাশি এই বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ শুরু হয়ে গেছে। মালদা জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বৈঠক করে শুভেন্দু অনুগামীদের চিহ্নিত করে কোন লাভ হবেনা। কারণ যারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের অনেকেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন এবং বেশিরভাগই শুভেন্দু অনুগামী।

এদিন অজয় গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরের হয়ে মালদা শহরের আসলেই দেখা যাবে তৃণমূলের ফাটল কতটা চওড়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর সাথে সাথে রাজ্য তৃণমূল শিবিরের অনেকেই বেসুরো বাজবেন। সেকথা সত্যি ইতিমধ্যেই হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী যাবার সাথে সাথেই এক ঝাঁক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ দল ছেড়েছেন। দলে থেকেও অনেকেই বিরুদ্ধাচরণ করছেন।

যেমন- রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় এখন অন্য সুর। তবে শুভেন্দু অনুগামীদের প্রত্যেকেই যে গেরুয়া শিবিরে জায়গা পাবেন সে নিশ্চয়তা কিন্তু নেই। কারণ ইতিমধ্যেই পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে কিন্তু গেরুয়া শিবিরের ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। তবে সব মিলিয়ে বাংলার রাজনীতিতে এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা। আপাতত মালদা জেলার শুভেন্দু অনুগামীদের বুঝিয়ে-সুজিয়ে দলে রাখতে কতটা সমর্থ হবেন তৃণমূল নেত্রী মৌসম বেনজির নূর, সে দিকেই নজর সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!