এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু চ্যাপ্টারে বড় শিক্ষা? ‘গদ্দার কাঁটা’ ঝেঁটিয়ে বিদায়ে এবার বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের? –

শুভেন্দু চ্যাপ্টারে বড় শিক্ষা? ‘গদ্দার কাঁটা’ ঝেঁটিয়ে বিদায়ে এবার বড়সড় পদক্ষেপ তৃণমূলের? –


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যে শুভেন্দু অধিকারী তথা অধিকারী পরিবার এক সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঘাস ফুলের সমারোহকে সুনিশ্চিত করেছিল, সেই শুভেন্দু অধিকারীই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছেন গলার কাঁটা। ২০০ টিরও বেশি আসনে জয় এলেও নন্দীগ্রামের পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল শিবির। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রে সাফল্য এলেও ৭ টিতে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল শিবিরের অনেকের ধারণা, তৃণমূলে থেকেও বেশ কিছু নেতা দলের সঙ্গে অন্তর্ঘাত করেছেন, যার ফলে জেলায় এতোগুলি আসনে সফলতা এসেছে বিজেপির। এবার এই সকল নেতাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।

সম্প্রতি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলে। এই বৈঠকের পর খেজুরির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রঞ্জিত মন্ডল ও জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হলো। এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র জানালেন যে, যে কেন্দ্রগুলোতে তৃণমূলের পরাজয় হয়েছে, সেই সমস্ত কেন্দ্রে চলবে পর্যালোচনা। ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে দলকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর রিপোর্ট হাতে আসার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জানালেন, কিছু সময় আগেও যারা জেলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই দলের সঙ্গে অন্তর্ঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, পরবর্তীতে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে বহু নেতাকে দলের বিরুদ্ধে কাজ করতে বাধ্য করেছেন। এ কারণে দুজন নেতাকে তাঁরা সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন। এবার, রিপোর্ট হাতে পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, অধিকারী পরিবার যখন তৃণমূলে সর্বেসর্বা ছিল, সে সময় অধিকারী পরিবারের বিরাগভাজন হয়ে অনেকেই দলের মধ্যে ছিলেন কোণঠাসা। কিন্তু অধিকারী পরিবার সরে যেতেই তাঁরা এখন সর্বেসর্বা হয়ে উঠতে শুরু করেছেন। এমনই একজন হলেন জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। একসময় তিনি পূর্ব মেদিনীপুর ছেড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে চলে গিয়েছিলেন। এবার তিনি তৃণমূলের হেরে যাওয়া কেন্দ্রগুলিতে দলকে পুনরায় পুনর্জীবিত করার কাজ নিয়েছেন। তাই হারের পর্যালোচনা যেমন চলছে, তেমনি দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এককথায়, দলকে বড়সড় শিক্ষা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!