এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কারা কারা তৃণমূল ছাড়তে পারেন শুভেন্দুর সঙ্গে? জেনে নিন সম্ভাবনাময় নামগুলি!

কারা কারা তৃণমূল ছাড়তে পারেন শুভেন্দুর সঙ্গে? জেনে নিন সম্ভাবনাময় নামগুলি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিধানসভা ভোটের মুখে যেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা সর্বত্র শোনা যাচ্ছে, সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছাড়ার প্রসঙ্গ উঠে আসতে দেখা গেছে বারবার। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও ভোটের মুখে তিনি দল ছাড়লে আদৌ তৃণমূলের ভোটের হিসাব মিলবে কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, তিনি দল ছাড়লে একা ছাড়বেন না।

তিনি দল ছাড়লেও বিক্ষুব্ধ নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ প্রত্যেকেই দল ছাড়বেন বলেই মনে করেছিলেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে যথাসম্ভব পারস্পরিক দূরত্ব মিটিয়ে নিয়ে যাতে ভোটের আগে সমস্যা সমাধান করে ফেলা সম্ভব হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে দেখা গিয়েছিল শাসক দলকে। কারণ যেভাবে বিভিন্ন মন্ত্রী, নেতা এবং বিধায়ককে ভোটের আগে প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল, তাতে জনসাধারণের কাছে শাসকদলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না।

তবে সেক্ষেত্রে দূরত্ব যে বেড়ে গেছে এবং তা যে সহজে মেটার নয় সে আশঙ্কাও করতে দেখা গিয়েছিল কিছু সমালোচকদের। অন্যদিকে, নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেসে জেলা পর্যবেক্ষক পদের বিলুপ্তি ঘটেছে। একইসঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বের হাতেই জেলা সংগঠনের ক্ষমতাভার গেছে। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের নানা জেলায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা পরিবহণমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এক্ষেত্রে বিরোধ ঘোষণা করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেইসঙ্গে তাঁকে সমর্থন করে এগিয়ে এসেছিলেন অনেকেই। তাই তাঁর দল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এদেরও দল ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এখানে প্রথমেই উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কথা। এখনকার ১৬ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩ টি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আর এই ১৩ জনের মধ্যে অন্তত ৮ জন শুভেন্দুর সঙ্গেই আছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

সম্প্রতি শুভেন্দুর ডাকা ‘শহিদ দিবস’-এর অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, পাঁশকুড়ার বিধায়ক ফিরোজা বিবি ও কাঁথি উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বনশ্রী মাইতিকে হাজির থাকতে দেখা গেছে। সেইসঙ্গে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া প্রকাশ্যেই শুভেন্দুকে সমর্থন জানিয়েছেন বলেও জানা যায়।

অন্যদিকে, কোচবিহারের ৯ টি আসনের মধ্যে, ৮টি তৃণমূলের দখলে। সেখানে ৪ জন শুভেন্দুর সঙ্গে দল ছাড়তে পারেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মালদা জেলা তৃণমূল সভাধিপতি গৌর মণ্ডল ছাড়াও সেখানকার কয়েকজন নেতা শুভেন্দুর সঙ্গে আছেন বলেও জানা গেছে। এছাড়াও পূর্ব বর্ধমান জেলায় কালনার বিধায়ক বিশ্বজিত কুণ্ডুও প্রকাশ্যে শুভেন্দুকে সমর্থন করেছেন বলে জানা যায়।

সেইসঙ্গে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সম্প্রতি সরাসরি তৃণমূল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখও সেই একই দলে। শুধু তিনি একা নন, মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাও নাকি শুভেন্দুর সঙ্গে দল ছাড়ার জন্য মুখিয়ে আসছেন বলেই জানা গেছে। যাদের মধ্যে আছেন জেলা পরিষদের সভাপতি মোসারফ হোসেন। ফলত শুভেন্দু দল ছাড়লে যে একে একে এদের সকলকেই তৃণমূলকে হারাতে হবে, সেটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!