এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হবার কারণে হারাতে হলো সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ ও রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তা

শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হবার কারণে হারাতে হলো সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ ও রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট এর সম্পাদক শ্রীধর মিশ্রকে অপসারণ করা হল। পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট এর গতকাল একটি বৈঠক হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর, ট্রাস্ট এর সভাপতি ও একাধিক সদস্য। গতকালের বৈঠকে সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে শ্রীধর মিশ্রকে। পদ থেকে অপসারণের পরই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে দেওয়া বুলেটপ্রুফ গাড়ি ও দেহরক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শ্রীধর মিশ্র শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করায় তাঁর বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেয়া হলো বলে, রাজনৈতিক মহলের মতামত। সংগঠনের সম্পাদক পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করা হলো। এরপর রাজ্য সরকারের দেওয়া দেহরক্ষী ও বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট নামের সংগঠনটি তৈরি হয়েছিল। এর সভাপতি করা হয় মধুসূদন মিশ্রকে, এর সম্পাদক করা হয় শ্রীধর মিশ্রকে। জেলা ছাড়িয়ে ক্রমশ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এই ট্রাস্ট ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এর মুখ্য উপদেষ্টার দায়িত্বতে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, পরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও এর সঙ্গে যুক্ত হন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর, গতকালের বৈঠকের পর এই ট্রাস্টের অস্থায়ী কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর, বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী, বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তপন ব্যানার্জি, সহকারি কোষাধক্ষ্য গণেশ মিশ্র প্রমুখরা। আপাতত, এই অস্থায়ী কমিটির হাতেই সংগঠনের দায়িত্ব থাকবে। এরপর নতুন করে পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

সম্পাদক পদ থেকে অপসারণের পর শ্রীধর মিশ্র জানালেন যে, এই সংগঠনের তিনি জন্ম দিয়েছিলেন। এখন তাঁর নামে মিথ্যা বলে তাঁকে বরখাস্ত করা হলো। কিছুদিন আগে তিনি জানতে পেরেছেন যে, কিছু অসাধু ব্যক্তি যারা ট্রাস্টের সদস্য নন, তাঁরা ট্রাস্টের অফিসের তালা ভেঙ্গে অন্য তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন, ট্রাস্ট দখলের চেষ্টা চলছে। তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ থেকে তিনি ট্রাস্টের কেউ নন। কিন্তু তাঁর হাত ধরেই সংগঠনের সবকিছু হয়েছিল।

তিনি আক্ষেপ করে জানান, যাদের তিনি হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছিলেন, আজ তারাই তাঁর সঙ্গে বেঈমানী করেছেন। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যান্য নেতারা যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তাঁদের ঘনিষ্ঠদের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু শাসক দলে এ কাজ চললেও, এতদিন পর্যন্ত কোন ধর্মীয় সংগঠনের ওপর এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তবে, এবার সেটাই হলো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!