এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে জল্পনা বাড়িয়ে ৪ প্রভাবশালী নেতাকে দল থেকেই তাড়িয়ে দিল তৃণমূল!

শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে জল্পনা বাড়িয়ে ৪ প্রভাবশালী নেতাকে দল থেকেই তাড়িয়ে দিল তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ ৪ সদস্যকে বহিষ্কার করা হল তৃণমূল দল থেকে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারাই তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলেন, দলের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ ছিল এদের বিরুদ্ধে। তবে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার কোন দায়ভার নিতে চায় নি। এ প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারীর বক্তব্য, ” ব্লক নেতৃত্ব বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। তা রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নন্দীগ্রামে কাউকে বহিষ্কারের অনুমোদন আমরা দিইনি।” জেলা সভাপতির এই কথাই জল্পনা বাড়াচ্ছে।

প্রসঙ্গত আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দানের দুর্নীতিতে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বেশকিছু তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এজন্য শোকজ করা হয়েছিল ২০০ জনকে। গত ৭ জুলাই এদের মধ্যে ২৫ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই বহিষ্কারের তালিকায় ছিলেন কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানসুরা বেগম ও তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বনবিহারী পাল। পঞ্চায়েত প্রধান মানসুরা বেগম দলের নির্দেশ অনুযায়ী বিডিও অফিসের নিজের ইস্তফা জমা দিয়েছিলেন। এরপর গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত প্রধান পদে ছিল নির্বাচন।এই পদে তৃণমূল দল থেকে সাকিনা খাতুন এর নাম উল্লেখ করা হলেও, শেষ পর্যন্ত প্রধান পদে পুনর্নির্বাচিত হলেন মানসুরা বেগম।

এরপরই দলের নির্দেশ অমান্য করায় প্রধান মানসুরা বেগম, তাঁর স্বামী তথা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাহাবুদ্দিন, উত্তম প্রামাণিক ও মিঠুয়ারা বিবিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ১৬ ই সেপ্টেম্বরের বৈঠকে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মানসুরা বেগমের স্বামী সেখ শেখ সাহাবুদ্দিন তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য ওই পঞ্চায়েতের একজন প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তাকে বহিষ্কার ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। এরপর এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান করা হয় সানোয়ার আলি শাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর শেখ সাহাবুদ্দিন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি ও জেলা সভাপতিকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে দলের নির্দেশ অমান্য করা জন্যে ক্ষমা চাইলেন। সে সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ২৪ ঘন্টার মধ্যে মানসুরা বেগমকে প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশ পালন করেননি তাঁরা। এরপর ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এই বিষয়টি কিছুদিন ধামাচাপা পড়ে যায়।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে নন্দীগ্রামের তৃণমূল পার্টি অফিসে এ বিষয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এখানে উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুপিয়ান, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের প্রমুখরা। এই বৈঠকের পরই এই চারজনকে দল থেকে বহিষ্কার কথা ঘোষণা করেন ব্লক সভাপতি মেঘনাথ পাল। এ প্রশ্নে তিনি জানান, ” ব্লক কমিটির নির্দেশেই সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে বিডিও অফিসে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এখন তাহলে ব্লক কমিটির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? দলের নির্দেশ অমান্য করায় আমরা চারজনকে বহিষ্কার করেছি। একই সঙ্গে উপপ্রধানকে অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে।”

তবে এ বিষয়ে বহিস্কৃত নেতা শেখ সাহাবুদ্দিন এর বক্তব্য, ” আমাকে বহিষ্কার করার এক্তিয়ার ব্লক কমিটির নেই। দু’দিন পর ওরা কোন দলে যোগ দেবে, তা নিয়ে দোটানায় আছে। এখন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে লোক হাসাচ্ছে।” তবে, খোদ শুভেন্দুর গড়ে এভাবে ৪ জন নেতা-নেত্রীকে বহিস্কার করাতে ছড়িয়েছে জল্পনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!