প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সামনে এসেছিল একাধিক খবর। বস্তুত তৃণমূলের তরফ থেকে যতই বলা হোক না কেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক, কিন্তু দলের অন্দরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে সে কথা বোঝা যাচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, বিধানসভা ভোটের যেহেতু আর বেশি দেরি নেই, তাই এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো দলের কাছেই যে সাধারণ মানুষের সামনে নিজেদের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখা কতটা প্রয়োজনীয় সে কথা আলাদা করে বলে যেতে হয় না।

তবে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে সে কথাই যেন আবারো স্পষ্ট হয়ে গেল। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়েই পশ্চিমবঙ্গের পুরো ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে খোঁচা দিতে দেখা গেল রাজ্যের পরিবহন পরিবেশ ও সম্পদ মন্ত্রীকে। আর যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল আরো ভালো করে পরিস্কার হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

বস্তুত শুভেন্দু অধিকারীর কাজকর্ম নিয়ে কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলেও জানা গেছে। যেখানে অনেকেরই অভিযোগ ছিল দলের কোনো অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায় না। এমনকি অরাজনৈতিক ব্যানারে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত যোগ দেন। সেখানে তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন চিহ্ন বা প্রতিচ্ছবি লক্ষ্য করা যায় না।

আর এই নিয়েই তাঁর বিজেপি যোগ সম্পর্কে কয়েকবার নানা মন্তব্য শোনা গেলেও তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই অনুগামী, সে কথা বলা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। তবে কিছুদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায় একক শক্তি দিয়ে কোনও কাজ কেউ করতে পারেন না।

আর এই কথা স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন বলেই উল্লেখ করেন তিনি। তাঁরই বাণী উধৃত করে মন্ত্রী আরো বলেন, আমি, আমি করা হল সর্বনাশের মূল। আর তাঁর এই কথা বলার পরই দলের ভিতরে জল্পনা ছড়ায়, যে তবে কি তিনি এবার অভিষেককে সরাসরি আক্রামণ করলেন।

তবে এরই মধ্যে শুক্রবার জেলা সফররত মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কিত প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘পথ ভাবে আমি দেব, রথ ভাবে…… হাসেন অন্তর্যামী।’ আর ফিরহাদ হাকিমের এহেন জবাবে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে বলেই জানা গেছে। আর সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে তবে কি তৃণমূল এবার প্রকাশ্যেই শুভেন্দুকে ঝেড়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করে ফেলেছে? তবে শেষমেশ জল কোন দিকে গড়ায়, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।