প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বাংলাতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা জানা গিয়েছিল আগেই। দলের অন্দরে তিনি যে বেশ ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অনেক কথায়। তৃণমূলের অনেক ব্যাপারে তাঁর মতপার্থক্য ছিল বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নালিশ করেও তিনি সুরাহা পাননি বলেই দাবি করেছিলেন।

তাই দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সেই সঙ্গে দলের ব্যানার ছাড়াও অন্যত্র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর তাই নিয়েই তাঁর বিজেপিতে যোগদান বা তৃণমূল ছাড়ার কথা বলতে শুরু করেছিলেন অনেক রাজনীতিবিদরাই। তবে তাঁর এই দ্বন্দ্ব যে প্রথম স্থানে আসার, সেই গুঞ্জনও শোনা গেছে।

বস্তুত, দলের জনপ্রিয়তা এবং সাংগঠনিক শক্তির দিক থেকে শুভেন্দু অধিকারী যে সংগঠনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন, সেই ব্যাপারে দলের অনেক অনুগামীরাই নিশ্চিত। আর এমন পরিস্থিতিতে দলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম স্থান দখল করবেন সেই নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি।

তবে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে এ বিষয়ে মানস ভূঁইয়া যে মন্তব্য করেছেন তাতে এতদিন যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব জেলাস্তরে লক্ষ্য করা গিয়েছিল, তা রাজ্যস্তরে উঠে এসেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বস্তুত শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই তাঁকে নিশানা করেছেন মানস ভুঁইয়া। আর তাঁকে মহিষাসুর বলে কটাক্ষ করে উক্তি করতে দেখা গেছে তাঁকে।

তাঁর কথায়, ত্রিদেব ব্যর্থ হয়েছিলেন মহিষাসুরকে বধ করতে। কাজেই মহামায়াকে আসতে হয়েছিল সেই দায়িত্ব পালনে। এখানে মহামায়া বলতে যে বাংলার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মানস ভূঁইয়া বোঝাতে চেয়েছেন, সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। সেইসঙ্গে অসুর বলতে এখানে যে শুভেন্দু অধিকারী নিজেই সে কথাও বোঝা গেছে।

তবে এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের বক্তব্য এর মধ্যে কোন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নেই। বস্তুত, অমূল্য মাইতির মতে সবংয়ে গীতা ভূঁইয়াকে জিততে সহযোগিতা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই কারণেই মানস ভূঁইয়া এই ধরনের মন্তব্য করেছেন বলেই জানান হয়েছে।