এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “মেদিনীপুর বিশ্বাসঘাতকতা পছন্দ করে না।” শুভেন্দু ইস্যুতে বিস্ফোরক মদন

“মেদিনীপুর বিশ্বাসঘাতকতা পছন্দ করে না।” শুভেন্দু ইস্যুতে বিস্ফোরক মদন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার পর একের পর এক তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতাকে বারবার এই নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেছে। সেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, তিনি দলনেত্রীকে আগেই জানিয়েছিলেন এক বছর আগে থেকেই পা বাড়িয়ে রেখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে সৌগত রায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, “শুভেন্দু উচ্চাকাঙ্খা দ্বারা চালিত।”

তাঁর কথায়, উনি বিধায়কপদ থেকে যে ইস্তফা দিয়েছেন তা আইনসঙ্গত নয়। উচ্চাশা এবং লোভের জন্যই শুভেন্দু অধিকারীর এই পদক্ষেপ বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই হতে চাইছিলেন। তাই বিজেপি হয়তো তাঁকে লোভ দেখিয়েছে বলেই দাবি করেছিলেন তিনি।

যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের এখনও কিছুটা দেরি আছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই যুদ্ধং দেহি মেজাজে রাস্তায় নেমে পড়েছে বিরোধী পক্ষ। সেখানে তৃণমূল শিবির মমতায় আস্থা রেখেছে আর বিজেপি তৃণমূলের ভাঙনকে কাজে লাগিয়ে যত বেশি লোককে তৃণমূল থেকে দলে টানা যায়, সেই কথাই ভাবছে বলেই অনুমান করেছিলেন বিশ্লেষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরই মধ্যে গতকাল বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দেওয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ২১ বছরের গাঁটছড়া নষ্ট হয়েছে বলেই জানা গেছে। রাজ্যের আট থেকে আশি সেই নিয়েই এখন ব্যস্ত। তবে এবার শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার দিনে মুখ খুলতে দেখা গেছে মদন মিত্রকে। আর এবার শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিতে দেখা গেছে তাঁকে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মদন মিত্র নাকি মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেছে। তাঁর কথায়, “মেদিনীপুর বিশ্বাসঘাতকতা পছন্দ করে না। মেদিনীপুরের মাটি বিশ্বস্ততা পছন্দ করে। এই চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করছি। মেদিনীপুর আমাদের সবচেয়ে ভালো ফল দেবে।”

সেখানে একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে তিনি বলেন, “শুভেন্দু বেইমানি করেছে। মেদিনীপুর বেইমানদের ক্ষমা করে না।” যদিও এখনও পর্যন্ত এই কথার কোনো প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি। তবুও রাজ্য রাজনীতি যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, সেখানে নির্বাচনের আগে নতুন করে কি ঘটতে চলেছে, সেই অনুমান করা এখন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এর সমান বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!