এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর পর এ বার রাজীব, মহুয়ার গড়ে মাথ্যাব্যাথা বাড়লো তৃণমূলের

শুভেন্দুর পর এ বার রাজীব, মহুয়ার গড়ে মাথ্যাব্যাথা বাড়লো তৃণমূলের


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পরিবহন মন্ত্রীর পর এবার কি তবে বনমন্ত্রী? প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যেমন জেলায় জেলায় পোস্টার পড়তে শুরু করেছিল, এবার রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনেওপোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড পড়তে দেখা যাচ্ছে নদীয়া জেলার রানাঘাট শহর ও শহরের লাগোয়া বেশকিছু এলাকাতে। যাকে কেন্দ্র করে বাড়ছে তৃণমূলের অস্বস্তি। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী দলের প্রতি ক্ষুব্দ হবার পর থেকেই রাজ্যের স্থানে স্থানে তাঁর ছবি দেওয়া পোস্টার দিতে শুরু করেছিলেন তাঁর অনুগামীরা।

এবার নদীয়া জেলায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড পড়তে দেখা গেল। গত শনিবার এক অরাজনৈতিক সভা থেকে প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর গতকাল সোমবার রানাঘাট শহরে, রানাঘাট ১ ব্লকের হবিবপুর সহ বিভিন্ন স্থানে তাঁর নামে পোস্টার পড়তে দেখা গেল। যেখানে তাঁর ছবির নিচে লেখা আছে ‘ ছাত্র যুবর নয়নের মনি’ কিংবা ‘আমরা দাদাকে ভালোবাসি’ । যার ফলে বাড়ছে নানা জল্পনা।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবার পর দলবদলের জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। করুনাময়ীর এক অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, স্তাবকতা করলেই দলে গুরুত্ব বাড়ে। দলের দক্ষ ও যোগ্য নেতাদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে পেছনের সারিতে। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে দিলে দলের ক্ষতি হবে। এরপরেই তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বনমন্ত্রীর সমর্থক হয়ে উঠলেন কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের মধ্যেই। তবে তৃণমূল এর পেছনে বিজেপিকে দায়ী করেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, দলকে চাপে রাখতেই বিজেপি এমন কান্ড করছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত গত লোকসভা ভোটের পর নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সে সময়ে নদীয়া জেলায় তৃণমূলের সংগঠনকে রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর এই দুটি ভাগে বিভক্ত করে দেয়া হয়েছিল। এরপর, ৫ মাস আগে আবার জেলার তৃণমূল সংগঠনকে তার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গেই পর্যবেক্ষক পদটি তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু অনেকটা সময় ধরে জেলার পর্যবেক্ষক থাকায় অনেকবার বৈঠক করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে পরিচিত হয়েছেন তিনি দলের অনেকের সঙ্গেই।

আবার, নদীয়া জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পর থেকে দলের কিছু নেতা, কর্মী দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলের একাধিক সম্মেলনে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের সামনেও দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। গত রবিবার গয়েশপুরে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বেশকিছু তৃণমূল কর্মী। দলের এই ক্ষুব্ধরাই এধরণের পোস্টার দিয়ে থাকতে পারেন বলে দলের একাংশের ধারণা।

তবে, এ প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর দীপক বসু অভিযোগ করেছেন যে, এই সমস্ত কাজ করে বিজেপি তৃণমূলে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু তার দাবি, এতে তৃণমূল বিভ্রান্ত হয়নি। তৃণমূল কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছেন। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানালেন যে, তৃণমূলে এখন শুরু হয়েছে মুষলপর্ব। তৃণমূলে দলের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তাকে সমর্থন করছে দলের একটি অংশ। তার ফলে বিচলিত হয়ে তৃণমূল এখন সব কিছুর মধ্যেই বিজেপির হাত দেখতে পাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!