শুভেন্দুর সভায় নাম নেই মমতার, সভায় সাংসদ , বিধায়ক, বাড়ছে ক্রমশ জল্পনা ! তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য November 10, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে দলের সাংগঠনিক রদবদলের পর বেশকিছু জেলার ক্ষমতা হারিয়ে দলে বেশ কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন পরিবহন ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। দলত্যাগ না করেও, মন্ত্রিত্ব না ছেড়েও দলের প্রতি অনেকটাই উদাসীন হয়ে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। একাধিকবার দলহীন জনসংযোগ করছেন তিনি, করছেন সমাজসেবা মূলক কাজ। কিন্তু কোন সভা মঞ্চ থেকেই তাঁকে নাম নিতে দেখা যাচ্ছেনা মুখ্যমন্ত্রীর। আজ শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের শহিদ সভা থেকেও একটিবারের জন্যও নাম নেননি মুখ্যমন্ত্রীর। এদিকে আজকের সভায় উপস্থিত হলেন সাংসদ ও বিধায়ক। যা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়লো শাসক দল তৃণমূলের। আজ নন্দীগ্রামের তেখালির বকুলনগর স্কুলে শুভেন্দু অধিকারী শহীদ দিবস পালন করলেন। শহীদ দিবস পালন উপলক্ষে তেখালির নানা স্থানে রাস্তার ধারে ধারে একাধিক তোরণ তৈরি করা হয়েছিল। যে তোরণ গুলিতে তৃণমূলের নাম, প্রতীক, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কিছুই পাওয়া যায়নি। তোরণ গুলিতে লেখা ছিল, ” শুভেন্দুর ডাকে নন্দীগ্রাম চলো।” আজ শুভেন্দু অধিকারী শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দিব্যেন্দু, ফিরোযা বেগম প্রমুখরা। পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এই মঞ্চ থেকে জানিয়ে ছিলেন যে, এটি একটি অরাজনৈতিক সমাবেশে। এই সমাবেশে তিনি কোনো রাজনীতি করতে চান না। গত ২০১১ সালের রক্তাক্ত সূর্যোদয়কে জনগণ অস্তমিত করেছিলেন। তখন তিনি নন্দীগ্রামে এসেছিলেন এবং এর পরবর্তী কর্মসূচির কথা তিনি জানিয়েছিলেন। তিনি জানালেন যে, তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ান। সভামঞ্চে থেকে তিনি শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন তিনি, তাঁদের নামে স্লোগানও দেন তিনি। কিন্তু একটি বারের জন্যও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নাম নেননি। তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন, ” জয় বাংলা, ভারতমাতা জিন্দাবাদ” স্লোগানের মধ্য দিয়ে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত একটা সময় অনেকের ধারণা ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ছাড়া অন্য কোথাও শুভেন্দু অধিকারীর তেমন একটা প্রভাব বা জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু, এখন জেলায়, জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর নামে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। তাঁর ছবির নিচে লেখা থাকছে, ” আমরা দাদার অনুগামী”। অনেকে অভিযোগ করেছে যে, তৃণমূল দলে যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি তাঁকে। অনেকে মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারী এবার দলের প্রতি অভিমান করে দল ছাড়তে চলেছেন। অনেকে ধারণা করছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। আবার অনেকে মনে করছেন যে, তিনি নতুন কোন দল তৈরি করতে পারেন। সম্প্রতি জেলায় জেলায় তাঁর অনুগামীরা তাঁর নামে পোস্টার দিচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, কোন একটা বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জল মাপতে চাইছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম না নেওয়া, সভায় সাংসদ, বিধায়কের উপস্থিতি অস্বস্তি বাড়ালো তৃণমূলের। একেই শাসকদল তৃণমূলে ক্রমশ বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সংখ্যা বাড়ছে। বিধায়ক মিহির গোস্বামী, বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলের বিরুদ্ধে একাধিক বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যা চাপে রেখেছে দলকে। আবার, শুভেন্দু অধিকারীর সভায় দলের নাম বা প্রতীক ব্যবহার না করা এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর নাম না নেওয়ায় জল্পনা আরো বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন অনেকে। আপনার মতামত জানান -