এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল-পুত্রের পত্রবোমা যুবরাজকে, প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি

মুকুল-পুত্রের পত্রবোমা যুবরাজকে, প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি


একদা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অঘোষিত দু-নম্বর নেতা মুকুল রায় গত বছর ১১ ই আগস্ট দলের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। এরপর, বেশ কিছুদিন জল্পনা জিইয়ে রেখে ওই বছরেরই ৩ রা নভেম্বর যোগ দেন বিজেপিতে। আর মুকুলবাবুর বিজেপি শিবিরে পদার্পনের পরেই রাজ্য-রাজনীতিতে লাখ টাকার যে প্রশ্নটা ঘোরাফেরা করতে থাকে তা হল – তাঁর দেখানো পথেই কি তাঁর পুত্র তথা শাসকদলের টিকিটে বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় বিজেপিতে যোগদান করবেন?

এই নিয়ে বহুবার প্রশ্ন উঠলেও, শুভ্রাংশুবাবু নিজে বারেবারেই প্রকাশ্যে বলেছেন, তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তাঁর বাবার দেখানো পথে নয়, বরং তিনি চলতে চান তৃণমূল নেত্রীর আদর্শে। এমনকি, তাঁকে যদি দলীয় সব পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলেও তিনি নাকি একজন সাধারণ তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক হিসাবেই থেকে যাবেন। কিন্তু, তিনি এই কথা প্রকাশ্যে জানানোর পরেও, দলীয় নেতৃত্ত্বের সন্দেহের বাতাবরণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তিনি যে জেলা থেকে রাজনীতি করেন সেই উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যেই বলেন যে শুভ্রাংশু রায়ের বিজেপিতে যোগদান নাকি সময়ের অপেক্ষা। যদিও, এরপরেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন শুভ্রাংশুবাবু। কিন্তু সম্প্রতি একটি সাদা পাতায় তাঁর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। কোনও লেটার হেডে নয় – একটি সাদা পাতায় গত ১৪ ই অগাস্ট শুভ্রাংশুবাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লেখেন (যদিও সেই চিঠিটি শুভ্রাংশুবাবুই লিখেছেন কিনা তা যাচাই করা প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার তরফে সম্ভব হয় নি)।

সেই চিঠিতে, শুভ্রাংশুবাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চেয়েছেন – সম্প্রতি আমি টেলিভিশন নিউজে মেয়ো রোডে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভা সংক্রান্ত খবর দেখে চমকে উঠি। পরবর্তীকালে সেই একই সংবাদ বিভিন্ন সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অমিত শাহ অভিযোগ এনেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটি টাকার ‘অপব্যবহার’ করেছেন। এই ঘটনা জানার পর আমার আপনার কার্যকলাপ নিয়ে সন্দেহ হয়েছে এবং মনে হয়েছে আপনি বিভিন্ন প্রকার বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। আমি আপনার প্রতি আমার বিশ্বাস, সম্মান হারিয়ে ফেলেছি। অনুগ্রহ করে আমাকে জানানো হোক অমিত শাহের অভিযোগে কোন সত্যতা আছে কিনা, যদিও বরাবরের মত আমি বিশ্বাস করতে চাই এগুলি মিথ্যা।

যদিও এই ‘পত্রবোমা’ ১৪ ই আগস্ট দেওয়া হয়েছে – কিন্তু এই নিয়ে শুভ্রাংশুবাবুকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কোন জবাব দেওয়া হয়েছে কিনা জানা যায় নি। যদিও, অমিত শাহের ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অমিত শাহের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। আর এরপরে শুভ্রাংশুবাবু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁকে দেখতে যান খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, বিজয়া দশমীর পর মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে যান শুভ্রাংশু রায়। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে আলোচনায় তাঁকে দেখা যায়, দেখা যায় স্বয়ং দলনেত্রীর সঙ্গেও একান্ত আলোচনায়। ফলে, সব মিলিয়ে শুভ্রাংশু রায়ের ‘পত্রবোমা’ ঘিরে নতুন জল্পনার সূচনা হল রাজ্য-রাজনীতিতে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা এই সেই শুভ্রাংশু রায়ের পত্র – যা ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!