এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েতের মুখে বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুলে জমিয়ে দিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়

পঞ্চায়েতের মুখে বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুলে জমিয়ে দিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়


বাংলায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। আর এই পরিস্থিতিতে নিজেকে এর বাইরে রাখতে পারলেন না স্বয়ং মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও। বাবা মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও, শুভ্রাংশুবাবু এখনো তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন, যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত তিনি আপাতত একঘরে, কোনঠাসা। কেননা, মুকুল রায় বিজেপিতে যাওয়ার পরেই জল্পনা ছড়ায় বাবার পিছু পিছু ছেলেও নাম লেখাবেন গেরুয়া-শিবিরে। কিন্তু শুভ্রাংশুবাবু জানিয়ে দিন বাবার রাজনৈতিক আদর্শ ও তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ সম্পূর্ণ আলাদা, কোনো পরিস্থিতিতেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়বেন না। যদিও তাঁর দলের দাপুটে শীর্ষ নেতারাই পুরো ব্যাপারটাকে ‘নাটক’ আখ্যা দিয়েছেন এবং শুভ্রাংশুবাবুর বিজেপিতে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা জানিয়ে দিয়েছেন। তার থেকেও বড় কথা, তাঁর বিধানসভা এলাকার দলীয় অনুষ্ঠানেও তিনি এখন ডাক পান না, পুরো কর্তৃত্ত্ব চলে গেছে ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং ও নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের হাতে।

আর এবার তাঁর শুভ্রাংশুবাবুর বিধানসভা এলাকা বীজপুরের মধ্যে কোনো পঞ্চায়েত এলাকা না থাকা সত্ত্বেও শাসকদলের প্রচারে মুখ খুললেন তিনি। শুভ্রাংশুবাবু জানান, বাংলার মানুষের মন উন্নয়নের পক্ষে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে রয়েছে। দিদি যেভাবে উন্নয়ন করেছেন, তাতে মানুষ দু’হাত ভরে তৃণমূলকেই ভোট দেবেন। আর এরপরেই অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিজের বাবাকেও একাসনে বসিয়ে তাঁর বক্তব্য, দিলীপবাবু, রাহুলবাবু বা মুকুলবাবুরা যা বলছেন, তা দিয়ে মানুষের মন জয় করা যেতে পারে না। কেউ বলছেন শ্মশান করে দেব, কেউ বলছেন স্মার্টফোন দেব, কেউ বা কাগজ দেখাচ্ছেন। এ দিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মন জয় করা যেতে পারে, কিন্তু বাংলার মানুষের মন জয় করা যেতে পারে না। আর শুভ্রাংশুবাবুর এহেন মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র হল গুঞ্জন – এতদিন চুপ থাকার পরে কোন পরিস্থিতিতে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন তাঁর পুত্র? এতদিন দলীয় রাজনীতিতে ব্রাত্য থাকার পর হঠাৎ করে পঞ্চায়েতের আগে এইভাবে সাংবাদিক বৈঠকে বাবাকে কোনঠাসা করা চেষ্টা কেন? তাঁর উপর কি দলীয় চাপ কাজ করছে? নাকি পিছনে আছে অন্য সমীকরণ? উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!