এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বোমা তৈরিও একটা শিক্ষা, বীজপুরের কর্মীরা পাশের বাড়ির কাকাকে বাবা বলে: শুভ্রাংশু

বোমা তৈরিও একটা শিক্ষা, বীজপুরের কর্মীরা পাশের বাড়ির কাকাকে বাবা বলে: শুভ্রাংশু


মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই, তাঁর পুত্র তথা বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে চূড়ান্ত জল্পনা ছড়ায়। এবার কি তিনি বাবার দেখানো পথেই বিজেপিতে যাবেন? সেই জল্পনা আরো গতি পায় যখন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে বলেন যে শুভ্রাংশু রায়ের নজপিতে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা। যদিও শুভ্রাংশু রায় নিজে বারবার জানিয়েছেন, তাঁকে দল থেকে তাড়িয়ে দিলেও একজন তৃণমূল সমর্থক হিসাবে তিনি থেকে যাবেন। কিন্তু এরপরেও কার্যত তাঁকে ব্রাত্য করে রাখা হয় দলে, তাঁর বিধানসভা এলাকার দায়িত্ত্ব যায় পার্শ্ববর্তী ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং এবং নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের কাছে। তাঁকে সেভাবে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায় না, এমনকি জল্পনা বাড়িয়ে বারাসতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকেও তাঁকে দেখা যায় নি, যা নিয়ে বিতর্ক কম হয় নি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

বহুদিন বাদে আজ নিজের বিধানসভা এলাকা কাঁচরাপাড়ার লিচুবাগানে অনুগামীদের নিয়ে ডঃ বি আর আম্বেদকরের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায়। আর এই অনুষ্ঠানের শেষেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কার্যত একের পর এক বোমা ফাটান তিনি। কারোর নাম না নিলেও, তিনি কার্যত স্পষ্ট করে দেন তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির হাল হদিশ। বীজপুরের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আজ বি আর আম্বেদকরের জন্মদিন, এটা কোনও দলীয় উৎসব নয় – সারা ভারতের অনুষ্ঠান। তাই এই অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। চেয়ারম্যান হিসেবে মনে করি, রাজ্য নেতৃত্ব এবং জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে যে কেউ যে কোনও অনুষ্ঠান করতে পারে। শুধু কোথাও কোনও অনুষ্ঠান করার জন্য টাকা নেওয়া বা লোককে হুমকি দেওয়া যেন না হয় – এটা আমাদের দলনেত্রী বলেছেন। কাজেই, সেটা মাথায় রাখা উচিত। নভেম্বর মাসে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুটি মিছিলেই ছিলাম। তারপর সে অর্থে বীজপুরে সেরকম অনুষ্ঠান হয়নি। যেখানে সম্মান দিয়ে ডাকা হয়েছে, সেখানে গেছি। তবে একটাই আক্ষেপ, বীজপুরের যারা দলীয় কর্মী তাঁরা নিজের বাবাকে বাবা বলতে পছন্দ করেন না, পাশের বাড়ির কাকাকে বাবা বলে ডাকতে পছন্দ করেন

এরপরেই সম্ভবত সাম্প্রতিককালের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়টি খুঁচিয়ে তুললেন তিনি। বিরোধীরা যে ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমন করেন, তৃণমূলের অভ্যন্তরে থেকেও সেদিকেই আঙ্গুল তুললেন তিনি। শুভ্রাংশু রায় বিস্ফোরকভাবে বলেন, বীজপুরে যারা রাজনীতিতে রয়েছেন বা কোনও পদে রয়েছেন, তাঁদের কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখা দরকার। আমি দেখলাম একটা স্কুলে স্বাস্থ্য শিবির হয়েছে। সেখানে অনেক বিধায়ক আসছেন। আমি এলাকার বিধায়ক, সেই স্কুলের প্রাক্তনীও। যোগ্যতার দিক দিয়ে অমিত মিত্রকে বাদ দিলে, এই চত্বরে যতজন বিধায়ক আছেন আমার ধারে কাছে কেউ আছেন কি না জানি না। আমার কোনও ক্রিমিনাল কেস নেই। অথচ তাঁরা ডাক পাচ্ছেন আর আমাকে ডাকা হচ্ছে না। কেন এরকম হয়েছে জানি না। তবে শিক্ষার মান একজন শিক্ষিত লোকই বুঝতে পারেন। বোমা তৈরিও একটা শিক্ষা। তবে, স্কুলে গিয়ে সেটা শেখানো মনে হয় না ঠিক হবে। অবশ্য সব শিক্ষাই রপ্ত করা দরকার সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!