এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সুব্রত বিহনেই কি মুকুল উত্থান? ‘ওয়ার রুম’ নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু গেরুয়া শিবিরে

সুব্রত বিহনেই কি মুকুল উত্থান? ‘ওয়ার রুম’ নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু গেরুয়া শিবিরে

একদা রাজ্য রাজনীতিতে চাণক্য হিসেবে পরিচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মুকুল রায় বর্তমানে বিজেপি নেতা হিসেবেই বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিত। তৃণমূল ছেড়ে সেই মুকুল রায় বিজেপিতে আসার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির একাংশ অভিযোগ তুলেছিল যে, সারদা নারদার মত যে সমস্ত ইস্যুতে উঠতে বসতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতো বিজেপি।

এখন সেই সারদা নারদা এনাম থাকা একদা তৃণমূলের দাপুটে নেতা মুকুল রায়কে নিজেদের দলে নিয়ে আদতে নিজেদের ভিতটাই নড়বড়ে হবে। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে এত সব প্রশ্ন উঠলেও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে তৃনমূলকে ঠেকাতে সেই মুকুল রায়ের ওপরই ভরসা রেখেছে। এমনকি বাংলার লোকসভা নির্বাচন কমিটির প্রধানও করা হয়েছে সেই মুকুল রায়কে।

দলের তরফে এই দায়িত্ব পেয়েই এবার নিজের মতো করে সংগঠনকে সাজাতে শুরু করেছেন মুকুলবাবু। এদিকে মুকুলবাবুর এই তৎপরতা রাজ্য বিজেপির একাংশের ঘুম কেড়ে নিলেও তারা কিছুই করতে পারছেন না। জানা গেছে, রাজ্যে বিজেপির সংগঠক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে দুটি মামলায় ফেঁসে রয়েছেন। যার ফলে তিনি রাজ্য সদর দপ্তরে আসতে পারছেন না। আর এরই সুযোগই নিয়েছেন মুকুল রায়।

কেননা আরএসএস ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায় যদি এখন সক্রিয় থাকতেন তাহলে মুকুল রায়ের এই উত্থান সম্ভব হত না বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নিজের বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠকও করেছেন মুকুল রায়।

পাশাপাশি পুজোর পরেই ওয়ার রুমেরও পরিকল্পনা রয়েছে তার। এদিকে দিনকে দিন বঙ্গ বিজেপিতে মুকুল রায়ের এই উত্থান প্রসঙ্গে এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,” হিন্দিতে একটা কথা আছে, ভোলানাথ কা বরাত। নন্দী ভৃঙ্গী সবাই থাকে সেখানে। আমি শুধু বলবো, রাজনীতিও তেমনই নানা ভুতের সহাবস্থান।”

তবে দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করে মুকুল রায়ের দিকে কটাক্ষ ছুরে দিলেও তার সঙ্গে দীলিপবাবুর কোনো দ্বন্দ্ব নেই বলে এদিন সেই ওয়ার রুম প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, “দল যা দায়িত্ব দিয়েছে। তাই পালন করছি।”

কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বাংলায় মুকুল রায়ের প্রতি এত ভরসা রাখলেও আদতে লোকসভায় কি এরাজ্যে পদ্ম ফোটাতে সক্ষম হবেন সেই মুকুল? এদিন এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ অনুগামী এক বিজেপি নেতা বলেন, “মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেই ভোট হয়। স্ট্র্যাটেজি করে কোনোদিন নির্বাচনে জেতা যায় না। আর মুকুল রায়ের সেই বিশ্বাসযোগ্যতায় নেই।”

পাল্টা দিলীপ ঘোষের শিবিরকে খোঁচা দিয়েছে মুকুল অনুগামীরাও। তাদের দাবি, “ওরা তো ভোটই করতে জানতো না। মুকুল দা এবার শিখিয়ে দেবেন, কি করে ভোট করতে হয়!”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক মহলের মতে, আরএসএস ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায় মামলায় ফেঁসে থাকাই এখন সুবর্ণ সুযোগ মুকুল রায়ের কাছে। আর তাইতো হেলায় সময়কে নষ্ট না করে একদিকে সমস্ত নেতাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা আর অপর দিকে ওয়ার রুম তৈরি করে তৃণমূলকে সরাতে তীব্র রণকৌশলে জোর দিচ্ছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!