জঙ্গলমহলে তৃণমূলের বিপর্যয় অনুসন্ধানে গিয়ে রাগে অগ্নিশর্মা সুব্রত বক্সী বিশেষ খবর রাজ্য May 23, 2018 রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেদিকে তাকানো যায় শুধুই ঘাসফুল, কিন্তু তারমাঝেও বেশ কিছু জায়গায় উঁকি মারছে পদ্ম, যা রীতিমত চিন্তা বাড়িয়েছে শাসকদলের। বিজেপির বাড়বাড়ন্তের অন্যতম জায়গা হল জঙ্গলমহল। এই জঙ্গলমহল নিয়ে শাসকদলের গর্বের শেষ ছিল না – মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় বেশ ফলাও করে বলতেন, শাসকদলের উন্নয়নের জোরে জঙ্গলমহল হাসছে। কিন্তু বাস্তবে পঞ্চায়েতের ফল বেরোতে দেখা গেল, জঙ্গলমহলে বেশ করুন অবস্থা শাসকদলের। এমনিতেই দলীয় সূত্রে ইঙ্গিত ছিল আদিবাসী অধ্যুষিত গোয়ালতোড়, শালবনি, কেশিয়াড়িতে ফলাফল একটু খারাপ হতে পারে, কিন্তু ব্যালট বাক্স খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ – ‘একটু’ নয় বেশ খারাপ তৃণমূলের ফল এখানে। ওই তিন এলাকার ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়জয়কার – কেশিয়াড়িতে ৯ টির মধ্যে ৭ টি, গোয়ালতোড়ে ১০ টির মধ্যে ৪ টি, শালবনিতে ১০ টির মধ্যে ৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতই বিজেপি দখল করেছে। বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পর্যবেক্ষক তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, চিন্তার আরো কারণ এর আগে এখানকার সংগঠন দেখতেন মুকুল রায় – যিনি এখন বিজেপিতে। আর বিজেপিতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যে সংগঠনটাও অনেকটাই উঠিয়ে নিয়ে গেছেন এবারের ফলেই তা প্রমাণিত। আর তাই জঙ্গলমহল সামাল দিতে শীঘ্রই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলে যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তার আগেই গোয়ালতোড়, শালবনি, কেশিয়াড়ির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন সুব্রতবাবু। কিন্তু বৈঠকে ওই তিন ব্লকের নেতাদের ডাক হলেও দেখা যায় অন্যান্য ব্লকের নেতারাও উপস্থিত সেখানে – আর তাই দেখে রাগে ফেটে পড়েন সুব্রত বক্সী বলে সূত্রের খবর। রীতিমত ধমক দিয়ে বলেন, আমি তো আর কাউকে ডাকিনি, তিনটি ব্লক ছাড়া আর কেউ যেন বৈঠকে না থাকে। বৈঠকে সুব্রতবাবু ওই তিন ব্লকের যে সব অঞ্চল থেকে বিজেপি জিতেছে, সেখানকার বুথ ভিত্তিক রিপোর্ট তলব করেছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন, দলের কারও কারও আচার-আচরণ মানুষ ভাল ভাবে নেননি, ভোটে কে কোথায় কাকে মদত দিয়েছেন, সেই সব খবর দল পেয়েছে। দল সব কিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। আপনার মতামত জানান -