দলে দুর্নীতিগ্রস্থ নেতা আছে ,সুব্রত বক্সীর মন্তব্যে অস্বতি বাড়লো তৃণমূলের রাজ্য December 14, 2017 গঙ্গারামপুরের রবীন্দ্র ভবনে কর্মী সম্মেলনে এদিন তৃনমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। যা ঘিরে দলে এখন চরম অস্বস্তি।এদিন রবীন্দ্র ভবনে সুব্রতবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বালুরঘাট গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন শীল, প্রশান্ত মিত্র ও অখিল বর্মণ প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাসদা সহ অনেকেই। তিনি এদিন বলেন,”দলের ভেতর এমন অনেকে রয়েছেন যাঁরা তীর্থ স্থানগুলির প্রতারক পাণ্ডাদের মত সাধারণ মানুষকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি ও স্বপ্ন দেখিয়ে টাকা আদায় করছেন। দলের মধ্যে পদাধিকারী এমনও অনেকে আছেন যাঁরা ব্যক্তিগত মুনাফা ছাড়া কিছুই চিন্তা করেন না। আর এটা করতে গিয়ে প্রকৃত তৃণমূলিদের দূরে ঠেলে দিচ্ছেন। যাঁরা দলের জন্য কাজ করে চলেছেন তাঁদের ন্যূনতম সম্মান টুকুও দেওয়া হয় না। অথচ দলের জন্য দিনরাত এক করে কাজ করে যাওয়া এই মানুষগুলি ভোটে দাঁড়ানোর কোনও টিকিটও চান না। তাঁরা শুধু সম্মান টুকুই চান।” কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, উপস্থিত কর্মীদের বলেন, ”শুধু পঞ্চায়েত দখল করলেই সব নির্বাচনে জয় লাভ করা যায় না। তাহলে ২০১১’র বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের গোহারা অবস্থার সম্মুখীন হতে হতো না। সেই সময় ৮৬শতাংশ পঞ্চায়েত ছিল তাঁদের দখলে।” দল থেকে উল্টে দলেরই ক্ষতিকারক কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি রীতিমত সাবধান বাণী শুনিয়ে বলেন, ”কেউ কখনই পদ পেয়ে সবকিছু নিজের সম্পত্তি বলে ভাববেন না। সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে শুধু মাত্র পরিবারের লোকেদের চাকরি ও কাজ পাইয়ে দেওয়ার ধান্দায় থাকলে সাবধান হয়ে যান। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব কিছুই নজরে রাখছেন।” দলে যে সমস্ত ক্ষুব্ধ কর্মী আছে তাদের উদ্দেশ্যে এদিন সুব্রতবাবু বলেন, ”আপনারা কখনই কারও উপর রাগ করে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন না। কারও চালচলন পছন্দ না হলে বিশৃঙ্খলা করবেন না। চুপ থেকে দলের প্রদীপ হাতে নিয়ে কাজ করে চলুন।” এবং সাথে কর্মীদের সামনে জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দেন যেন তিনি সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করেন। তাছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের সভামঞ্চে দাড়িয়েএদিন সুব্রতবাবু দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের একটি সভাতে যোগ দিয়ে কার্যত মেনে নেন যে রাজ্যে পঞ্চায়েত গুলিতে সিন্ডিকেট রাজ্ চলছে। তিনি বলেন, ”পঞ্চায়েত গুলিতে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। ই-টেন্ডারের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যদের আত্মীয়রাই সব কাজকর্ম পেয়ে থাকেন। কিন্তু, এখন থেকে এই সব আর হতে দেওয়া হবে না। শক্ত হাতে বিষয়টি মোকাবিলা করা হবে।”শেষে তিনি বলেন, ”দলের মধ্যে কর্মীদের কাজকর্মে অনিয়ম ও নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকার বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক। কারণ পরিবারের ভাই বোনদের মধ্যেও এই ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে।” আপনার মতামত জানান -